সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আবদুল মোমেন খানের ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪৮ এএম, ১৪ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২০ | আপডেট: ০১:২৬ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
গত শনিবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য, সাবেক সফল খাদ্যমন্ত্রী, কেবিনেট সচিব ও আধুনিক নরসিংদীর রূপকার আবদুল মোমেন খানের ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পলাশ থানা বিএনপি, আবদুল মোমেন খান স্মৃতি সংসদ ও নরসিংদী জেলা বিএনপি নানা কর্মসূচি পালন করে।
এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জনগণের নাগরিক অধিকার তথা বাক, ব্যক্তি, চিন্তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করার সংগ্রামে আবদুল মোমেন খানের ভূমিকা ছিল ঐতিহাসিক। বিএনপি ও পূর্বসূরি জাগদলের প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য হিসেবে আবদুল মোমেন খান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। মন্ত্রী হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তথা দেশ ও এলাকাবাসীর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
মরহুমের সুযোগ্য সন্তান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খানের সভাপতিত্বে (ভার্চুয়ালি) পলাশ উপজেলার চরনগরদী গ্রামে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে দি মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটির চেয়ারপারসন ও খান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট রোকসানা খন্দকার বক্তব্য (ভার্চুয়ালি) রাখেন।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান বলেন, এদেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য সফল খাদ্যমন্ত্রী আব্দুল মোমেন খান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের (বীরউত্তম) পাশে থেকে কাজ করেছেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্র কায়েম করার ক্ষেত্রে খাদ্যমন্ত্রী আব্দুল মোমেন খানের অবদান অবিস্মরণীয়। তিনি একটি দুর্ভিক্ষকবলিত দেশে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিলেন। আজ মানুষের ভোটাধিকার নেই। মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে না। একদলীয় শাসনের যাঁতাকলে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এই দুঃসহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমলাদের (সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী) দেশ ও জনগণের সেবক হয়ে কাজ করার যে আহ্বান জানিয়েছিলেন আবদুল মোমেন খান তা বাস্তবায়নের জন্য সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। নরসিংদী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ , কিশোরগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জসহ তৎকালীন বৃহত্তর ঢাকা জেলার সুবিধাবঞ্চিত গরিব, অসহায় মানুষের প্রতি তার ছিল গভীর মমত্ববোধ। সহজ-সরল এসব মানুষের সাথে তিনি অভিভাবকসুলভ আচরণ করতে পছন্দ করতেন।
এছাড়া বক্তৃতা করেন পলাশ থানা বিএনপির সভাপতি এরফান আলী, বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব) জয়নুল আবেদীন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর এলাহী, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, ফেরদৌস আহমেদ খোকন, আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, পলাশ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সাইফুল হক, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন ভূঁইয়া মিল্টন, ঘোড়াশাল পৌরসভা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন মাস্টার, সাবেক বেলাব উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আহসান হাবীব বিপ্লব, পলাশ থানা যুবদলের সভাপতি নিশার খানসহ আরও অনেকে। মরহুমের তিন নাতনি (ড. আবদুল মঈন খানের তিন কন্যা) নওরীন খান, নওশীন খান ও মাহরীন খান উক্ত স্মরণসভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া-মিলাদ মাহফিল এবং স্মরণসভায় নরসিংদী জেলার সকল থানা ও পার্শ¦বর্তী জেলার প্রায় পাঁচ হাজার নারী ও পুরুষ নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আব্দুল মোমেন খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদী জেলা বিএনপি মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর চিনিশপুরস্থ বিএনপির জেলা কার্যালয়ে বিকেল ৪টায় এক আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এবং নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন। স্মরণসভায় বিরল প্রতিভার, সৎ, দেশপ্রেমিক, মানবতাবাদী এই নেতার গুণে নিজেদের অনুপ্রাণিত করে দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।