ঐক্যবদ্ধভাবে স্বৈরাচার সরকারকে বিদায় করে দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে - মঞ্জু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২০ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:১৩ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা, মৌলিক অধিকার, কথা বলার অধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়ে় ছিলেন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতাও ফিরিয়ে দিয়ে় ছিলেন তিনি। বহুদলীয় গণতন্ত্রের যে কাঠামো সেই কাঠামো নির্মাণ করেছিলেন। একই সাথে তিনি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মৌলিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলেন। তথা কথিত সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা থেকে একটি মুক্ত অর্থ বাজার সৃষ্টি করেছেন। বাংলাদেশের যত রকম অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে তার মূল ভিত্তি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর হাত ধরে হয়েছে।
আজ বুধবার বেলা ১১টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর ও জেলা বিএনপির আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জু আরও বলেন, বর্তমান সরকার জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মরদেহ, তার কবর এবং এমনকি মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান সম্পর্কে নির্মম, নিষ্ঠুর ও জঘন্য মিথ্যা প্রচার করছে। প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক মন্ত্রী জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অসংলগ্ন মন্তব্য করছেন। তাদের একমাত্র কাজ হল মিথ্যা বলা, চরিত্র হনন করা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে় যারা কলকাতায় বসবাস করতেন তাদের কাছ থেকে জিয়ার মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট নেয়ার প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষই তাকে সেই সনদ দিয়েছেন। জিয়াউর রহমান, তার দেহ ও কবর সম্পর্কে মন্ত্রীদের অশালীন ও মিথ্যা মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, বিএনপি দীর্ঘ ৪৩ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে আজকে ৪৪ তম বছরে পা রেখেছে। ৪৪ বছরে এসে শপথ নিতে হবে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার ও গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে স্বৈরাচারি হাসিনা সরকারকে বিদায় করে অপশাসন ও দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে। অপপ্রচার চালিয়ে বিএনপিকে ধবংস করা যাবে না। বিএনপিকে ধবংস করার ক্ষমতা এ সরকারের নেই।
সভায় বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমির এজাজ খান, মোশারফ হোসেন, জাফরুল্লাহ খান সাচ্চু, শেখ ইকবাল হোসেন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুল রশিদ, রেহেনা আক্তার, এড. তসলিমা খাতুন ছন্দা, সাইফুর রহমান মিন্টু, অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল, আব্দুল রকিব মল্লিক, আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আশরাফুল আলম নান্নু, শামসুল আলম পিন্টু, মহিবুজ্জামান কচি, মেহেদি হাসান দিপু, ইকবাল হোসেন খোকন, মুজিবুর রহমান, জালু মিয়া, এস এম শাহজাহান, সাদিকুর রহমান সবুজ, নিজামুর রহমান লালু, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ হোসেন পরাগ, কাজী মিজানুর রহমান মিজান, মোর্শেদুর রহমান লিটন, হাসানুর রশীদ মিরাজ, মিজানুর রহমান মিলটন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, খাইরুল ইসলাম জনি, কামরুল ইসলাম শিপার, মশিউর রহমান যাদু, জাফরিন নেওয়াজ চন্দন, কাজী শফিকুল ইসলাম শফি, আবু সাইদ সেখ, ম শ আলম, শরিফুল ইসলাম বাবু, গোলাম কিবরিয়া আশা, হেমায়েত হোসেন, নাজির উদ্দিন নান্নু, হাসান মেহেদি রিজভী, শেখ জামিরুল ইসলাম, আবুল কালাম শিকদার, আফসার উদ্দিন মাস্টার, এনামুল হাসান ডায়মন্ড, শরিফুল আনাম, ইসাহাক তালুকদার, শাহাবুদ্দিন মন্টু, শেখ জামাল উদ্দিন, এইচ এম ছালেক, আশরাফ হোসেন, রবিউল ইসলাম রবি, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, জাহিদ কামাল টিটু, নাসির খান, মোস্তফা কামাল, মোজাম্মেল শরীফ, আসলাম হোসেন, ইমতিয়াজ আলম বাবু, আব্দুল জব্বার, শামসুর রহমান, মেহেদি হাসান সোহাগ, শেখ আব্দুল সালাম, শামসুল বারি পান্না, রাহাত আলী লাচ্চু, ইসমাইল হোসেন, মাজেদা খাতুন, আরমান হোসেন, রফিকুল ইসলাম শুকুর, বাচ্চু মীর, সিরাজুল ইসলাম লিটন, আব্দুল আলিম, কাজী মাহমুদ আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন, লিটন খান, এস এম জসিম উদ্দিন, বারেক হাওলাদার, হুমায়ুন কবির, খান শহীদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, জাকারিয়া লিটন, সিদ্দিকুর রহমান, আবু বকর, কাজী একরাম মিন্টু, আলতাফ হোসেন, মঞ্জুরুল আলম সৌরভ, আছাবুর রহমান পাইলট, মনিরুজ্জামান মনি, জামাল উদ্দিন মোড়ল, শাকিল আহমেদ, মাসুদ রেজা, মনিরুল ইসলাম, ওহেদুজ্জামান, হেমায়ে়ত হোসেন হেদু, মিজানুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, নূরে আব্দুল্লাহ, মাসুদ খান বাদল, রফিকুল ইসলাম টিটু, নাজমুল হাসান নাসিম, সাখাওয়াত হোসেন, বাবুল মুন্সি, মিজানুর রহমান, নাসির উদ্দিন, শামিম আশরাফ, হাবিবুর রহমান কাজল, সাইফুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, আতিয়ার রহমান, জাহাঙ্গির মল্লিক, ফজলুর রহমান, মনসুর আলী বাবু, রাজিবুল আলম বাপ্পি, সাজ্জাদ হোসেন জিতু, রোকেয়া ফারুক, রিয়াজুল কবির, সেলিম বড় মিয়া, আতিয়ার রহমান বাবু, মিজানুর রহমান বাবু, মনসুর আলী বাবলু, মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, দেলোয়ার হোসেন, আবুল কালাম, আছিব ইকবাল, আবু জাফর, ইউনুস মোল্লা, শাহনাজ ইসলাম, মুন্নি জামান, সেলিম কাজী, নাসিমা পলি, রেহেনা ইসলাম, সাথী, কাকলী, ন্যান্সি, সুজানা জলি, হেলাল হোসেন, তানভীর, ইসরাইল বাবু প্রমূখ। আসাদুজ্জামান মুরাদ ও ওয়াহেদুজ্জামান রানা আলোচনা সভা পরিচালনা করেন।
দলের প্রতিষ্ঠা ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সকালে সুর্য্যদয়ের সাথে দলীয় পতাকা উত্তোলন, বেলা ১১টায় শান্তির প্রতীক পায়রা, বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে কর্মসুচির সুচনা করা হয়। আলোচনা সভার আগে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানসহ দলের নিহত, গুম খুনের শিকার নেতাকর্মী, মৃত্যুবরনকারী নেতা কর্মীদের স্মরণ করা হয় এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন আবু হোসেন বাবু এবং পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন মাওলানা আব্দুল গফ্ফার। এছাড়া নগরীতে প্রতিষ্ঠাবাষিকী উপলক্ষে পোষ্টারিং ও দলীয় কার্যালয়ে সামনে তোরন নির্মাণ করা হয়।