প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের লাশের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২৪ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৪৭ এএম, ১২ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বাংলাদেশের জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম, পিএসসিকে প্রায় ২০টি বুলেট বিদ্ধ করে হত্যা করা হয়। এতে তাঁর সারা শরীর ঝাঁজরা হয়ে গিয়েছিল। এতে তাঁর শরীর আংশিকভাবে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে শরীরের কাঠামো অটুট ছিল, যাতে করে এটি যে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শরীর তা চিহ্নিত করা গিয়েছিল। তার ডেড-বডির পোস্টমর্টেম রিপোর্টে একথা বলা হয়েছে।
১৯৮১ সালের ৩০ মে ভোর ৪ টায় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এক আকস্মিক হামলায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। লে. কর্নেল মাহফুজ-এর বর্ণনা মতে, তাঁকে আরো দুটি লাশের সাথে ১৯৮১ সালের ৩০ মে দুপুর আড়াই চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সন্নিকটে কবর দেয়া হয়। চট্টগ্রামস্থ সেনা হেডকোয়ার্টার-এর লে. কর্নেল মাহফুজসহ অন্যরা চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নিকটস্থ গণকবর থেকে ১ জুন সকালে উদ্ধার করেন এবং চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেনস্থ সিএমএইচ-এ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নিয়ে যান ঐ দিন সকাল ১০টায়।
এই পোস্টমর্টেম রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এই মৃতদেহটি আংশিকভাবে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হলেও তাঁর শরীরের কাঠামো অটুটু ছিল- যাতে করে সেটি যে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শরীর তা চেনা গেছে। এতে করে আলাদা আলাদা ২০টি বুলেট পাওয়া যায়।
(এ) একটি বুলেট তাঁর ডান চক্ষু দিয়ে ঢুকে বাম occiputo-Parietal রিজিয়ন দিয়ে বের হয়।
(বি) আরেকটি 8'' x 3 '' ক্ষত মুখের বাম থেকে ঘাড়ের নিচ পর্যন্ত পাওয়া গেছে, যাতে পুরো ঘাড়-কাঠামো ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
(সি) প্রায় ২০টি বুলেট তাঁর বুক ও পেটে ক্ষতের সৃষ্টি করেছে।
(ডি) প্রায় একই প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সংখ্যক বৃহৎ ক্ষতের সৃষ্টি করে বুলেট বের হবার সময়।
(ই) এছাড়া সম্ভবত ব্রাশ ফায়ারের কারণে আরো কিছু ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
(এফ) দুটি বুলেটের চিহ্ন ডান হাতে ছিল।
(জি) এছাড়া উভয় লিম্বস-এর নিচে ক্ষত চিহ্ন পাওয়া যায়।
প্যাথলজি বিশেষজ্ঞ লে. কর্নেল এ জেড তুফায়েল আহমদ স্বাক্ষরিত এই পোস্টমর্টেম রিপোর্টে মৃত দেহটি একটি কফিনে করে আনা হয়েছে- যাতে চা পাতা রাখা ছিল। কফিনটি যথাযথভাবে ব্রিগেডিয়ার এ কে এম আজিজুল ইসলাম, লে. কর্নেল মাহফুজ এবং কর্নেল মাহতাবুল ইসলাম-এর কাছে চট্টগ্রাম সিএমএইচ কর্তৃক দুপুর ১টার সময় হস্তান্তর করা হয়।