কুষ্টিয়ায় বিএনপির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৫৭ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির উদ্যেগে পালিত হয়েছে।
আজ বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির কার্যালয়ে উত্তোলন এবং সকাল ১১টায় আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও কেক কাটা হয়।
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর ভার্চুয়াল সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম রিন্টু, আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামিম উল হাসান অপু, যুব বিষয়ক সম্পাদক মিজবাউর রহমান পিন্টু, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া, জেলা মৎস্যজীবি দলের আহবায়ক নুরুল ইসলাম আসাদ, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রোকনুজ্জামান রাসেলসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন সমূহের নেতৃবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে মেহেদী রুমী বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দিয়েছেন। ফলে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো আত্মপ্রকাশ করে। দুর্ভাগ্য আজকে, দীর্ঘ ৪৩ বছর পর যে শক্তি আগে গণতন্ত্রকে হরণ করেছিল, ধ্বংস করেছিল, হত্যা করেছিল, একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল তারাই আজকে সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় এসে বিরোধী রাজনীতিকে ধ্বংস এবং ভিন্নমত যারা অবলম্বন করছেন তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করার হীন চক্রান্ত শুরু করেছে।
সোহরাব উদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, বিএনপিকে আগামী দিনগুলোতে আরো ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে সব দলমতকে পুনরুদ্ধার করতে হবে, দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। আজকে সারা দেশে কর্মসূচি পালনে বাধা দেয়া হয়েছে। এতে প্রমাণ হয়, সরকার গণতন্ত্রের ন্যূনতম যে স্পেস সেটিও দিতে চায় না। এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের শপথ নিতে হবে আগামীদিনে রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে ভোট এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।