নোয়াখালীতে বিএনপির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১৯ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৪১ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নোয়াখালীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের বাস ভবনে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান।
নোয়াখালী জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের আয়োজনে নোয়াখালী শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাফর উল্লাহ রাসেল ও সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি জসিম উদ্দিনের উপস্থাপনায় আলোচনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি নেতা মাহবুব আলমগীর আলো, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কিরণ, শহর বিএনপির সভাপতি আবু নাসের, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সলিম উল্ল্যাহ বাহার হিরণ, জেলা যুবদল সভাপতি নুরুল আমিন খান, জেলা কৃষকদল সভাপতি এড. পলাশ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদল সভাপতি ছাবের আহমেদ ও জেলা ছাত্রদল সভাপতি আজগর উদ্দিন দুখু প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭৮ সালের এই দিনে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, ১৯ দফার সফল রাষ্ট্রনায়ক, বহুদলীয় গণতন্ত্ররে প্রবর্তক, আধুনিক বাংলাদশের রুপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশ ও জাতির ঐতিহাসিক প্রয়োজনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। যে দলের অনুসারীরা হবেন বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, ধর্মীয় মূল্যবোধের ধারক-বাহক, দেশপ্রেমে উজ্জীবিত সৎ ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ধারণায় অনুপ্রাণিত। তিনি নিজেও এসব গুণের অধিকারী ছিলেন। জিয়াউর রহমানের বিএনপি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে শুরু হয় উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি। রাজনীতিতে আসার আগেও এই মহান নেতার একটি ঘটনাবহুল জীবন রয়েছে। সৈনিক জীবন থেকে শুরু করে স্বাধীনতার ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধ, রাষ্ট্র পরিচালনা সর্বত্রই তাঁর একটি সমুজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে, যা জাতি কোনোদিন ভুলতে পারবে না।
বক্তারা আরও বলেন, বিএনপিকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি ষড়যন্ত্র হয়েছিল গত তত্ত্ববধায়ক সরকারের আমলে। বিএনপির দাবি সেই সময়কার সেনা সমর্থিত সরকারের উদ্দেশ্য ছিল বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া। এজন্য তারা দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে এবং তার দুই ছেলেকে আটক করা হয়। গ্রেফতার থেকে বাদ যায়নি দলের সিনিয়র নেতারাও। তারা বিএনপিকে দুইভাবে বিভক্ত করার অপচেষ্টা করে। কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বকে তারা দুর্বল করেত পারেনি। দীর্ঘ এক বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেয়ে আবারও দলকে সুসংগঠিত করে তোলেন বেগম খালেদা জিয়া।