বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরই দেশে 'গুমের সংস্কৃতি' চালু হয়েছে- গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩৯ পিএম, ৩১ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৩৭ এএম, ১৭ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বগুড়া জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেছেন- "গুম" শব্দটি বাংলাদেশের মানুষ কাছে পরিচিত ছিল না। এই ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতা দখলের পর থেকে গুম কথাটি চালু হয়েছে। যারা প্রতিবাদী, সচেতন এবং গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করে তাদের স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য তুলে নিয়ে গুম করে দেওয়া হয়। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে গেলে তারা বলে আমরা কিছুই জানি না।
গত ১৪ বছরে রাজনৈতিক কর্মীসহ ৬১৪ জন মানুষ গুম হয়েছে। গুম হওয়া পরিবারের কষ্ট ও ছোট বাচ্চাদের আহাজারি দেখলে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনা। গুম হওয়া নেতাকর্মীদের খুজে বের করার দায়িত্ব সরকারের। অন্যথায় ভবিষ্যতে জনগণের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। এই গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করতে হবে।
গতকাল সোমবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে বগুড়া শহরের টিএমএসএস অডিটোরিয়ামে বগুড়া শহর বিএনপির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বগুড়া শহর বিএনপির আহবায়ক মাহবুবুর রহমান বকুলের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক মশিউর রহমান শামীমের পরিচালনায় উক্ত সভায় বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বগুড়া জেলা বিএনপির সদস্য ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র মোঃ রেজাউল করিম বাদশা, বগুড়া জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলাম ও যুগ্ম আহবায়ক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা ও জয়নাল আবেদীন চান, বগুড়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, কে এম খায়রুল বাশার, শেখ তাহাউদ্দিন নাহিন, সহিদ উন নবী সালাম সহ ২১টি ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক ও যুগ্ম আহবায়কবৃন্দ।
উক্ত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রতিটি ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ শাখার সাংগাঠনিক অবস্থা তুলে ধরে বক্তব্য দেন। সভায় কমিটি পূণর্গঠন কার্যক্রমের অগ্রগতি ও সম্মেলনের দিক নির্দেশনা দিয়ে জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন।