গুমের দায়ে জনগণের আদালতে সরকারের বিচার করা হবে - মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫০ এএম, ৩১ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৩৭ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২৪
গুম হওয়া পরিবারের অসহায়ত্বের দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সোমবার দুপুরে আন্তর্জাতিক গুম বিরোধী দিবসের এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এই মন্তব্য করেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি মানবাধিকার সেলের উদ্যোগে গুম বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে এই মানববন্ধন কর্মসূচি হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই পরিবারগুলোর অসহায়ত্বের দায় কে নেবে? এখানে অনেকে আছেন যে, ৯ বছর ১০ বছর ধরে তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের সাবেক এমপি সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী, ঢাকার কমিশনার চৌধুরী আলমসহ আজকে আমাদের ৫শর অধিক নেতাকর্মী গুম হয়ে গেছেন ৭/৮/৯ বছর ধরে। ইলিয়াস আলীর মেয়ে এখন বড় হয়েছে সে এখনো দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকে যে, কখন তার বাবা ফিরে আসবে? বাবা ফিরে আসে না। বাচ্চাদের আহাজারি আপনারা শুনলেন। আপনারা (সরকার) বলেন যে, এখানে এগুলো (গুম) হয় না। তা হলে গেলো কোথায়? দায়িত্ব তো আপনাদের। খুঁজে বের করেন তাদেরকে। তাদের পরিবারের কাছে একে একে ফেরত দিন। এটা অবশ্যই আপনাদেরকে দিতে হবে। অন্যথায় ইতিহাসের কাঠগড়ায় আপনাদেরকে তার জবাব দিতে হবে। জনগণের আদালতে আপনাদের বিচার করা হবে। মানববন্ধনে অংশ নেয়া গুম হওয়া পরিবারের সদস্যদের আবেগময় আকুতিতে উপস্থিত অনেককে অশ্রæসজল হতে দেখা গেছে। কেউ কেউ তার বাবার ছবি, কেউ তার ভাইয়ের ছবি, কেউ তার সন্তানের ছবি, কেউ তার স্বামীর ছবি হাতে নিয়ে এই মানববন্ধনে অংশ নেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এমন দেশ এমন রাষ্ট্র আমরা বানালাম যেখানে আমার সন্তানেরা নিখোঁজ হয়ে যাবে, তাদের হদিস কেউ খুঁজে পাবে না এবং সেটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর লোকেরা তাদেরকে তুলে নিয়ে যাবে সরকার তার কোনো জবাব দেবে না। আমরা তো আমাদের চোখের পানি রাখতে পারি না। অসহায়ত্বের বেদনার যন্ত্রণা আমাদের কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। তোমাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে বলতে চাই, আমরা আর কিছু না করতে পারি, আমরা শুধু তোমাদের পাশে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলতে চাই যে, আমার ভাইকে, আমার বাবাকে, আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দাও।
তিনি বলেন, আমরা এখান থেকে মুক্তি চাই। আসুন আজকের এই দিনে আমরা গুমের যে কালচার সেই কালচারকে বন্ধ করে দেয়ার জন্য আমরা সবাই সোচ্চার হই। আমরা জোর গলা বলে উঠি যে, বন্ধ করো এবং তাদেরকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দাও। আমরা অবশ্যই আমাদের এই মানুষগুলোকে ফিরে পেতে চাই, তাদের পরিবারের কাছে যেন তারা ফিরে যেতে পারে। সরকারকে আমরা বার বার আহবান জানিয়েছি গুম হওয়া মানুষদের ফেরত দিন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সরকার আজকে শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বেআইনিভাবে অবৈধভাবে গোটা জাতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আমাদের সংবিধানকে ধ্বংস করেছে, গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, গোটা প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। সেজন্য আমাদের উচিত হবে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করে একটা সত্যিকার অর্থেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। যে সরকার এই অসহায় বাচ্চাগুলোর, এই পরিবারগুলোর যারা হারিয়ে গেছেন তাদেরকে বের করে নিয়ে আসার জন্য তারা কাজ করবে, ব্যবস্থা তারা করবে। আসুন আমরা সবাই দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে এই ভয়াবহ দানবীয় যে সরকার আমাদের ওপর চেপে বসেছে তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করার জন্য আমরা কাজ শুরু করি, আন্দোলন শুরু করি। বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, গুম হওয়া আনোয়ার হোসেনের মেয়ে রাইসা, মো. সোহেলের মেয়ে সাবা, মো. কাউসারের মেয়ে মীম, সেলিম রেজার বোন রেহানা আখতার মুন্নী, সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন আফরোজা ইসলাম আখি ও খালেদ হোসেনের মেয়ে শাম্মী আখতার নিপা।
নিখোঁজ সবাইকে ফিরিয়ে দিন, নইলে আমাদেরও গুম করুন স্বজনদের আকুতি : আমাদের স্বজন ফিরিয়ে দিন, নইলে আমাদেরও গুম করেন, গুম দিবসের অনুষ্ঠানে বললেন নিখোঁজদের স্বজনরা। আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘মায়ের ডাক’ নামের সংগঠনের আয়োজনে এক স্মরণ সভায় নিখোঁজদের স্বজনরা একথা বলেন। এ সময় গুম হওয়া স্বজনের আরও একজন বলেন, রাজনীতি করলেই তাকে গুম করতে হবে কেন? আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিন। প্রিয় স্বজনকে ছাড়া বছরের পর বছর তাদের দুর্বিষহ দিন কাটছে। নিখোঁজ এই মানুষগুলোকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি তাদের। এ সময় নিখোঁজদের ছবিও প্রিন্ট করে সঙ্গে এনেছিলেন অনেকেই। আরেক নিখোঁজ ব্যক্তি সাজেদুল ইসলাম সুমনের মেয়ে হাফসা ইসলাম বলেন, আমি একই জায়গায় ৮ বছর ধরে দাঁড়িয়ে আমার বাবাকে খুঁজছি। কেউ আমার বাবার খোঁজ দিচ্ছে না। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলছি- আমি আমার বাবাকে ফেরত চাই। আমার বাবা বেঁচে আছে না মরে গেছে আমি জানি না। আমার ছোট বোন বাবাকে কখনো দেখেনি। আমি শুধু আমার বাবাকে ফেরত চাই। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আর বাবাকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আকুতি জানাতে চাই না। আমার বাবাকে ফিরিয়ে দিন।
মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন বলেন, শুধু দেশের অভ্যন্তরে গুম হচ্ছে না। এখান থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশে। পরে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আরেক জায়গায়। এই যে আন্তঃদেশীয় ব্যবস্থা, এটা কখনোই রাষ্ট্রীয় সম্মতি ছাড়া সম্ভব না। তাই অবিলম্বে এসব ঘটনা তদন্তে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করা হোক। কমিশন তথ্য অনুসন্ধান করবেন, তদন্ত করবেন এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনবেন। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর প্রটেকশন অব অল পারসন্স অ্যাগেইনস্ট এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়্যারেন্স এই আন্তর্জাতিক সনদ কার্যকর হয়। তাতে ৩০ আগস্টকে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস ঘোষণা করা হয়। ২০১১ সাল থেকে প্রতি বছর ৩০ আগস্ট গুম হওয়া মানুষগুলোকে স্মরণ এবং সেইসঙ্গে তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর জন্য দিবসটি পালন করা হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। আর গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রাজনৈতিক নেতাকর্মীর পাশাপাশি আছে সাধারণ লোকজনও।
ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, দৈনিক নয়াদিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার ও এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, বিএফইউজের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোদাব্বের হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক খুরশীদ আলম, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরদার ফরিদ আহমদ, সাবেক সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী, ডিইউজের সহ-সভাপতি শাহীন হাসনাত, বাছির জামাল, রাশেদুল হক, দিনাজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মাহফিজুল ইসলাম রিপন, ডিইউজের কোষাধ্যক্ষ গাজী আনোয়ারুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম, প্রচার সম্পাদক খন্দকার আলমগীর হোসাইন, দফতর সম্পাদক ডি এম আমিরুল ইসলাম অমর, সাব-এডিটর কাউন্সিলের প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক নাবিল রহমান, বিএফইউজের সাবেক দফতর সম্পাদক আবু ইউসুফ, সাংবাদিক নেতা আব্দুর রহমান খান, জেসমিন জুঁই, সাখাওয়াত হোসেন মুকুল, আবু হানিফ প্রমুখ।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, করোনা মোকাবিলায় এ সরকার ব্যর্থ হয়েছে। টিকায় ব্যর্থতার কারণে এতোগুলো লোক মারা গেল।
তিনি বলেন, এরা মানুষের জান বাঁচাতে পারবে না, জীবন বাঁচাতে পারবে না। এরা কেবল মানুষকে জেলে দিতে পারবে, নির্যাতন করতে পারবে, নির্বিচারে গুম-খুন করতে পারে।
তিনি বলেন, দেশকে বাঁচাতে হলে সবাইকে এই জালিম সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মাঠে নামতে হবে। যে যেরকম করে পারেন, লড়াইটা ছাড়বেন না। সবাই রুখে দাঁড়ান। খুব যে বেশি দিন লাগবে ব্যাপারটা এমন না। পতনের আগে যে রকম কাঁপতে থাকে এই সরকার তেমনি কাঁপছে। ওদের একেক জায়গার দুর্বলতা মানুষের সামনে প্রকাশ পাচ্ছে। পায়ের নিচ থেকে মাটি তাদের চলে যাচ্ছে।
মান্না বলেন, রুহুল আমিন গাজীকে যারা কোনো রকম সত্য কারণ ছাড়াই মিথ্যা অভিযোগে এত দিন ধরে গ্রেফতার করে রাখতে পারে তাদেরও একদিন পতন হবে। আসিফ নজরুল একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছে। সে কারো নাম বলেনি। ওদের গায়ে লাগলো কেন? কারণ ওদের অনেক লোক ফাস্ট হোম, সেকেন্ড হোম, থার্ড হোম করে রেখেছে বাইরে। টাকা-পয়সা জমিয়েছে। তাদেরও ওই অবস্থা হবে।
এই দিন দিন নয়, আরো দিন আছে এমন মন্তব্য করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বর্তমান সরকার মিথ্যাচার করে ক্ষমতায় টিকে আছে। ওরা নির্লজ্জ। এমন দিন আসবে আওয়ামী লীগ পালানোর পথও খুঁজে পাবে না। এ সময় তিনি রুহুল আমিন গাজীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
দৈনিক নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন বলেন, সাংবাদিকদের কাজ হলো সত্য প্রকাশ করা। যা আজ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান ক্ষমতাসীনরা সত্য সহ্য করতে পারে না। রুহুল আমিন গাজীর কোনো অপরাধ নেই। শুধুমাত্র সত্য প্রকাশ ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলার জন্য আজ কারাগারে। আপনারা (আওয়ামী লীগ) যদি বাক-স্বাধীনতা ও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন তাহলে অবিলম্বে রুহুল আমিন গাজীকে মুক্তি দিন। আর যদি মুক্তি না দেন তাহলে বুঝবো আপনারা বাক-স্বাধীনতা ও স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না। এ সময় তিনি গণতন্ত্র রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে কাদের গনি চৌধুরী বলেন, যে দেশে গণতন্ত্র থাকে না, সে দেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাও থাকে না। আমাদের সংবিধানে বাক স্বাধীনতার কথা উল্লেখ থাকলেও সরকার সেটা মানছে না বরং গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণ এমন পর্যায়ে এসে ঠেকেছে যেখানে সত্য প্রকাশে প্রতিনিয়ত বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আজ সাংবাদিকের কলম স্বাধীন নয়, সেটি কাজ করছে ওপর মহলের নির্দেশে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণে গণতন্ত্র অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই তারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। ’৭২-৭৫ সালে ৪টি সংবাদপত্র রেখে সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিল। পরেরবার এসে দৈনিক বাংলা, বাংলাদেশ টাইমসসহ অনেক পত্রিকা বন্ধ করে দেয়। কাজেই মুক্ত সাংবাদিকতা চাইলে মিডিয়ার জাতশত্রুদের সরাতে হবে।
কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, সাংবাদিকদের অধিকার আদায় আন্দোলনের আপসহীন নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন গাজীকে অন্যায়ভাবে ১০ মাস যাবত জেলখানায় বন্দি করে রাখা হয়েছে। সাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল প্রকার অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সাহসী কণ্ঠস্বর। সরকার বিরোধী মতকে সহ্য করতে না পেরে তাকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আটক করে এখন নানা অজুহাতে জামিন প্রলম্বিত করছে। বর্তমান সরকার স্বাধীনতার চেতনাকে পায়ের নিচে পিষ্ট করছে। দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে আপসহীন সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীকে মুক্ত করে এর জবাব দেয়া হবে।
মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকদের কাজ হলো দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে লেখালেখি করা। আমাদের অফিসে থাকার কথা ছিল। কিন্তু পেশার ওপর আঘাত আসায় আমরা আজ রাজপথে আন্দোলন করছি। মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাংবাদিকদের প্রিয় নেতা রুহুল আমিন গাজীকে ১০ মাস ধরে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। রুহুল আমিন গাজী ও সাদাত হুসাইনের মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না।