আজ শুভ জন্মাষ্টমী, বিএনপির শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৬ পিএম, ৩০ আগস্ট,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৪৮ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
আজ শুভ জন্মাষ্টমী। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তাদের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেন।
গতকাল রবিবার (২৯ আগস্ট) বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দফতরের চলতি থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ স্বাক্ষরিত বাণীতে বলা হয়, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আরাধ্য শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন জন্মাষ্টমী অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যেকোন ধর্মীয় উৎসব সম্প্রদায়ের ভেদরেখা অতিক্রম করে মানুষে মানুষে মিলনের বাণী শোনায়, মানব সমাজের মধ্যে এক অনন্য ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত করে। আনন্দরূপ বিনম্রতায় সমাজে সকলকে এক গভীর শুভেচ্ছাবোধে আপ্লুত করে। সকল ধর্মের মর্মবাণী শান্তি ও মানব কল্যাণ। যুগে যুগে ধর্ম প্রচারকগণ সত্য ও ন্যায়ের পথ দেখিয়ে গিয়েছেন।
শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন এমনি এক সময়ে যখন সমাজে অত্যাচারী রাজার নিষ্ঠুর অত্যাচার ও দুঃশাসন কায়েম ছিল। তিনি সেই অন্যায়কে দমন করে পৃথিবীতে ন্যায়, সত্য ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতি ও মূল্যবোধের দেশ। তাই বাংলাদেশিরা কখনোই ঔদার্য, ব্যাপক পরিসর ও অন্য ধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতা হারায়নি। এখানে সকল ধর্মের মানুষেরা যুগ যুগ ধরে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে। আমরা সব ধর্মের মানুষের সমঅধিকারে বিশ্বাসী। হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানি, বৈষম্য, অন্যায়-অবিচার দূর করে সমাজকে শান্তিময় করে তুলতে যার যার অবস্থানে থেকে আমাদের সবাইকে অবদান রাখতে হবে। জন্মাষ্টমীর এই শুভদিনে আমি সকলের প্রতি এ আহবান জানাই।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জন্মাষ্টমীর এই শুভ দিনে আমি হিন্দু ধর্মের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। হিন্দু সম্প্রদায়ের আরাধ্য শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন শুভ জন্মাষ্টমী অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। সকল ধর্মাবলম্বীর ধর্মীয় উৎসবের মূলবাণী মানুষে মানুষে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও শুভেচ্ছাবোধ। সকল কালে, সকল যুগে বিভিন্ন ধর্মের প্রবক্তাগণ মানুষকে সত্য, ন্যায় ও কল্যাণের পথে চালিত হওয়ার উপদেশ দিয়েছেন।
হিন্দু ধর্ম মতে শ্রীকৃষ্ণও একই উদ্দেশ্যে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়ে জনসমাজে বিরাজমান অন্যায়কে পরাস্ত করে শান্তি ও কল্যাণ স্থাপন করেন। বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ হিসেবে সকল ধর্মের মানুষের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে বিশ্বাসী। বিএনপি সকল ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ নীতিতে বিশ্বাস করে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ যাতে উৎসাহ, উদ্দীপনা এবং ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে তাদের ধর্মীয় উৎসবগুলো পালন করতে পারেন সেজন্য বিএনপি সবসময় কার্যকর ভূমিকা পালন করে। আমি জন্মাষ্টমীর এই শুভক্ষণে সকলের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি।