প্রধানমন্ত্রী মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে বিষোদাগার করেছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০৬ পিএম, ২৯ আগস্ট,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:০৩ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে হাস্যকর বলেছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
আজ রবিবার দুপুর ১২টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি সভায় তিনি একথা বলেন।
মঞ্জু বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বিষোদাগার করেছেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে থেকেই যুদ্ধ করেছেন। এটা দিবালোকের মতো সত্য যে, তিনি যেদিন শাহাদাত বরণ করেন সেদিন এদেশের লাখ লাখ মানুষ কেঁদেছিল। বর্তমান অবৈধ সরকার গণতন্ত্র হত্যা করেছে, ভোটের অধিকার লুট করেছে। আওয়ামী লীগ মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা কখনোই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেনি। যারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র ধারক বলে মনে করে, যারা সারাক্ষণ মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে তারাই সবচেয়ে বেশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করেছে। যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা সবাই লড়াই করেছিলাম, সংগ্রাম করেছিলাম তাকে তারা হরণ করেছে, ধ্বংস করেছে।
সভা থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সর্ম্পকে অপপ্রচারে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমোতি দেয়ার আহবান জানানো হয়। সভা থেকে জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনে যাওয়া নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
সভা থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ০১ সেপ্টেম্বর সকালে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির ইতিহাস ও অর্জন সম্পর্কে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের সিদ্ধান্তসহ নগরীতে জিয়া ট্রি (নিমগাছ) লাগানোর কর্মসুচি গ্রহণ করা হয়। এছাড়া করোনা ও ঘুর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায় যারা সহযোগিতা করেছেন তাদেরপ্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। সভায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে টিকা গ্রহনের জন্য নগরীতে ফ্রি রেজিষ্ট্রশন বুথ করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, শেখ মুশাররফ হোসেন, জাফরুল্লাহ খান সাচ্চু, এ্যাড. বজলুর রহমান, রেহেনা আক্তার, শেখ ইকবাল হোসেন, শাহাজালাল বাবলু, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মাহাবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মেহেদি হাসান দিপু, মহিবুজ্জামান কচি, ইকবাল হোসেন খোকন, জালু মিয়া, নিজাম উর রহমান লালু, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ হোসেন পরাগ, সাজ্জাদ আহসান তোতন, একরামুল কবির মিল্টন, হাসানুর রশিদ, মিরাজ, মিজানুর রহমান মিলটন, সামসুজ্জামান চঞ্চল, শরিফুল ইসলাম বাবু, মজিবর রহমান ফয়েজ, কাজি শফিকুল ইসলাম শফি, আবু সাইদ শেখ, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, ম.স আলম, বদরুল আনাম, তরিকুল্লাহ খান, আবুল কালাম শিকদার, হাফিজুর রহমান মনি, এইচ এম আবু সালেক, ইসাহাক তালুকদার, মেজবাউদ্দিন মিজু, রবিউল ইসলাম রবি, ইমতিয়াজ আলম বাবু, বাচ্চু মির, ওমর ফারুক, মোস্তফা কামাল, আব্দুল জব্বার, আব্দুল আলিম, এনামুল হাসান ডায়মন্ড, আশরাফ হোসেন, আসলাম হোসেন, নাসির খান, রফিকুল ইসলাম বাহাদুর, মিরু কাজি, লিটন খান, মনিরুজ্জামান মনি, জাকারিয়া লিটন, লিটু পাটোয়ারী, বাকের হাওলাদার, সিরাজুল ইসলাম লিটন, নুরে আব্দুল্লাহ, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, মাজেদা খাতুন, মাহাবুবুল আলম বাদশা, সৈয়দ সাদি, আবু বকর, মাসুদ রেজা, বাবুল মুন্সি, মিনা মুরাদ, জিএম মইনুদ্দিন, জসিমুদ্দিন, মিজানুর রহমান, রাজু মোল্লা, সেলিম বড় মিয়া, কাজি একরাম মিন্টু, মতিয়ার রহমান, মোল্লা আলি আহমেদ, কাওছারি জাহান মঞ্জু, আলমগির হোসেন, ডা. হালি মোড়ল, হাবিবুর রহমান কাজল, মিলু খান, শফিকুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন জিতু, এমএ হাসান, আব্দুল আহাদ শাহিন, এমরান হোসেন, শেখ আল মামুন, এসএম আলমগির হোসেন, রবিউল ইসলাম, তুহিন ইসলাম প্রমুখ।