তদন্তে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার রোষানলে পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪৫ এএম, ২৯ আগস্ট,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৫৩ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ঢাকার আশুলিয়ায় এক নারীর চুল কাটা নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনায় তদন্তে গিয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার রোষানলের শিকার হয়েছেন। কিন্তু লাকী নামের এক দোকানীকে আটকের ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্বয়ং তদন্ত কর্মকর্তাও দাবি করছেন আটককৃত ওই নারীকে ভুক্তভোগী নারী চিনেন না।
আজ শনিবার দুপুরে মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানারা এসআই ও তদন্তে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মজিবর রহমান ও তার লোকজনের রোষানলের শিকার সফিউল্লাহ সিকদার। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়ার জিরাবো ঘোষবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃত লাকি বেগম (৩২) পিরোজপুরের ইন্দরকানি থানার কালাইয়া গ্রামের জাকির হোসেনের স্ত্রী। সে আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকার খোরশেদ আলমের ভাড়া বাড়িতে থেকে মুদি দোকানের ব্যবসা করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আশুলিয়ার ঘোষবাগ এরাকায় থাকাকালীন সময়ে লাকী বেগম নামের ওই দোকানীর কাছ থেকে বাকিতে বিভিন্ন সদাই (জিনিসপত্র) নিত সানু বেগম। এতে ১০ হাজার টাকা বাকি পড়ে। এ মাসের ১৯ তারিখ বেলা ১১ টার দিকে চাকরি নেয়ার জন্য নরসিংহপুর হামীম কারখানার সামনে গেলে দোকানী লাকী তাকে ডেকে নিয়ে যায় ও পাওনা টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালজ ও মারপিট করতে থাকে। একপর্যায়ে দোকানে থাকা কেচি দিয়ে সমস্ত চুল কেটে ফেলে।
তবে এবিষয়ে এসআই সফিউল্লাহ সিকদার জানান, বিষয়টি স্থানীয় ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান শাহেদের মাধ্যমে থানা পুলিশ অবহিত হলে ঘটনাস্থলে তাকে পাঠানো হয়। সেখানে গিয়ে ভুক্তভোগীকে নিয়ে কোথায় ঘটনা ঘটেছে জানতে চাইলে ওই নারী নিয়ে যেতে পারেনি। একপর্যায়ে মজিবরের নাম বলে ওই নারী। পরে মজিবরকে জিজ্ঞাসা করতে গেলাম। বললাম এই নারী কোন দোকানদারকেও চিনে না, দোকানও চিনে না, ওখানে কোন সাক্ষি প্রমাণ নাই। একজন মানুষকে বেঁধে রাখলে আশপাশের কেউ না কেউ দেখবে। কিন্তু কেউ দেখে নাই। আর এই মহিলাকে কেউ চিনে না। মহিলাকে জিজ্ঞাসা করলে বলে, তাকে আপনারাই পাঠাইছেন, এসব আপনারাই ব্যবস্থা করছেন। এখন এখানে আমরা কি করতে এলাম। এসময় মজিবর তার লোকজনকে ডেকে এনে আমাকে এই অবস্থা করছে। পরে ভিকটিমকে আনতে চাইলে তিনি তার লোকজনদের দিয়ে বাধা দেয়। পরে থানা থেকে আরো অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মজিবর জানায়, এই মহিলা ভারসাম্যহীন, একেক সময় একেক কথা বলে। এখানে সমাধান করে শেষ করে দেই।
এসআই সফিউল্লাহ জানান, কাজটা আসলে তারাই করছে। এখন ঘটনাতো ক্লিয়ার। আর মজিবর যে এরকম লোক, এরকম ক্লাসের লোক আমিত জানি না। এখন বিপদেতো আমি পড়ে গেছি বলেও জানান তিনি।