আবদুল মোমেন খানের ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩০ এএম, ১২ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২০ | আপডেট: ০৪:৩৯ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মন্ত্রিসভার সফল খাদ্যমন্ত্রী, সাবেক এমপি ও কেবিনেট সচিব এবং আধুনিক নরসিংদীর রূপকার মরহুম আব্দুল মোমেন খানের ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল। এ উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, জনগণের নাগরিক অধিকার তথা বাক, ব্যক্তি, চিন্তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করার সংগ্রামে আব্দুল মোমেন খানের ভূমিকা ছিল ঐতিহাসিক। তিনি এদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একজন মার্জিত ও প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিসেবে সমাদৃত ছিলেন। বিএনপি ও পূর্বসূরি জাগদলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে মরহুম আব্দুল মোমেন খান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। মন্ত্রী হিসেবেও তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তথা দেশ ও এলাকাবাসীর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে আবদুল মোমেন খান ফজলুল হক হল প্রতিষ্ঠার পর ছাত্র সংসদের প্রথম স্পিকার (বর্তমান ভিপি) নির্বাচিত হন। তিনি উপস্থিত বক্তৃতা, বিতর্ক ও অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমে খুবই পারদর্শী ছিলেন, যা তার পরবর্তী পেশা জীবনকেও সমৃদ্ধ করে। একজন সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে আবদুল মোমেন খান যথাযোগ্য সুনাম অর্জন করেন এবং লাহোরে সিনিয়র সিভিল সার্ভিস একাডেমিতে প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রথম স্থান অধিকার করে তৎকালীন রেক্টর ডি কে পাওয়ার (আইসিএস) প্রদত্ত প্রশংসাসূচক ভ্যালেডিকটরিয়ান সম্মান অর্জন করেন। যোগ্যতার নিরিখে আবদুল মোমেন খান বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ চাকরির পদ কেবিনেট সচিবের আসনে আসীন হন। তার বুদ্ধিদীপ্ত চাকরি জীবনে তিনি খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, প্রাদেশিক সরকারের গণপূর্ত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং সেচ বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সচিবের দায়িত্বও পালন করেন অত্যন্ত সফলতার সাথে।
আবদুল মোমেন খান ১৯৭৭ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উপদেষ্টা কাউন্সিলে আমন্ত্রিত হন এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিযুক্ত হন। বাগ্মী আবদুল মোমেন খান ব্যাপক জনপ্রিয়তার ফলে বাংলাদেশের ২য় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে ৩০০ আসনে সর্বোচ্চ ভোটে নরসিংদী-১ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী দর্শনকে প্রতিষ্ঠিত করতে তার অবদান দল ও দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
আমি মরহুম আবদুল মোমেন খানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার শুভানুধ্যায়ী ও পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।