বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতাতেই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের অবমাননা-কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১২ এএম, ১২ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২০ | আপডেট: ০১:২৫ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আস্কারা, প্রশ্রয় আর পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য অবমাননার মতো ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে।
আজ শুক্রবার সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত বিভিন্ন ধর্মীয় ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান এবং দেশের প্রতিটি বিভাগীয় সদর দফতরে করোনা সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
এ সময় সেতুমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। ‘গণতন্ত্রহীনতায় উগ্রবাদের উত্থান ঘটেছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, বিএনপি একদিকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ও উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা করে, আবার তারা গণতন্ত্রের কথা বলে? এদেশে উগ্রবাদের উত্থান ঘটে বিএনপির হাত ধরেই।
বিএনপি মহাসচিবের প্রতি প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাভাই, শায়েখ আবদুর রহমান কাদের সৃষ্টি? সারাদেশে একযোগে বোমা হামলা কাদের আমলে করা হয়েছিল? ময়মনসিংহের অলকা, ছায়াবাণী, পূরবী ও অজান্তা সিনেমা হলে একযোগে বোমা হামলা কাদের আমলে হয়েছিল?
বিএনপি কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলে, তাদের আমলে নাকি দেশে গণতন্ত্র ছিল, এ ব্যাপারে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, তাহলে বিএনপির আমলে উগ্রবাদ কীভাবে সৃষ্টি হলো?
বিএনপিই ক্ষমতায় টিকে থাকতে আর দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে দিতে ধর্মীয় উগ্রবাদের সৃষ্টি করেছিল জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, উগ্রবাদীদের লালন পালন করে সে বিষবৃক্ষকে বড় করেছে বিএনপি।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে সরকারকে নাকি কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে, মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন মন্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মুখে মানবাধিকারের কথা ‘ভূতের মুখে রাম রাম ধ্বনির মতো।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন উপলক্ষে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন প্রদানের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, তা অনুযায়ী জেনেশুনে, যাচাই-বাছাই করে মনোনয়ন দিতে হবে। যারা আগে বিদ্রোহ করেছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে তাদের নাম কেন্দ্রে না পাঠানোর অনুরোধ করছি। পিছনে থেকে এমপি, মন্ত্রী ও জেলা এবং কেন্দ্রীয় কোনো নেতা যদি বিদ্রোহী প্রার্থীদের মদদ দিয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও দল কঠিন সিদ্ধান্ত নিবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে বদলে দিয়েছে জীবনপ্রবাহ, জীবনের চলমান ধারা। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ, কোথাও কোথাও তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানছে। বাংলাদেশে সম্প্রতি সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার আবার ঊর্ধ্বমুখী হতে চলেছে, তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি বাধ্যতামূলক মাস্ক পড়তে হবে।
এদিন ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামছুন্নাহার চাপাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।