বিএনপির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা বাংলাদেশ কর্তৃত্ববাদী ভয়াবহ দুঃশাসনের আগুনে জ্বলছে : প্রিন্স
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৫ এএম, ২৫ আগস্ট,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৩৩ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
আগামী ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
আজ মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও ১৯ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী জাতিরাষ্ট্র গঠন এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিএনপি গঠন করেন। দীর্ঘ ৪৩ বছরের পথপরিক্রমায় বিএনপি স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ গঠন, গণতন্ত্রায়ন, সমৃদ্ধি এবং দুঃশাসন, দুর্যোগ-দুর্বিপাকে জনগণের পাশে থেকে নিরলসভাবে কাজ করেছে, এখনও করছে। ‘বিএনপির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো-
১। ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় বিএনপির নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপী কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন।
২। সকাল ১১টায় মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মাজারে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
৩। বেলা ১২টা থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং কেন্দ্রীয় অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে শহীদ জিয়ার মাজারে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
৪। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা। ৫। হেল্প ক্যাম্প ও করোনা রোগীদের সহায়তা প্রদান ৬। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে। ৭। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষে সারাদেশের কর্মসূচি : বিএনপির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে অনরূপভাবে আলোচনা সভাসহ অন্যান্য কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য নির্দেশ প্রদান করা যাচ্ছে।
গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি :
৩০ আগস্ট গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই দিবসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দিবসটি উপলক্ষে ঐদিন বিএনপি কর্মসূচি পালন করবে।
বাংলাদেশ এখন কর্তৃত্ববাদী ভয়াবহ দুঃশাসনের আগুনে জ¦লছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, এদের কারণে বাংলাদেশে এখন ঘাতক ও মৃত্যুর সহাবস্থান। দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীর জানমাল এখন নিরাপত্তাহীন। স্বাধীনতা শুধু ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের।
তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সহ-সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা মোস্তাফিজুর রহমান রুমীকে গতরাত ১০টায় যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা তুলে নিয়ে যাওয়ার পর এখনও পর্যন্ত তাদের কোনো হদিস দিচ্ছে না। ঘটনার পরপরই গতরাতে বিএনপি মহাসচিব এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তাদের সন্ধান দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন। কিন্তু এখনও তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ ধরনের লোমহর্ষক কর্মকান্ড একমাত্র কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী সরকার দ্বারাই সংঘটিত হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে তাদেরকে জনসম্মুখে হাজির এবং নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। মধ্যরাতের ভোটের পর আওয়ামী সংগঠনগুলো এখন বেপরোয়া, মনুষ্যত্বহীন, লাগামহীন, উদ্ধত এক মূর্তিমান আতঙ্ক। এদের কারণে বাংলাদেশে এখন ঘাতক ও মৃত্যুরই সহাবস্থান। দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীর জানমাল এখন নিরাপত্তাহীন। স্বাধীনতা শুধু ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের। আওয়ামী রাজনীতির যাঁতাকলে প্রতিনিয়ত নিষ্পেষিত হচ্ছে গণতন্ত্রকামী মানুষ, ভিন্নমতের মানুষ এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ।
মধ্যরাতের ভোটের সরকারের প্রভাবেই সমাজে অপরাধপ্রবণতা বিশ্বের সকল দৃষ্টান্তকে হার মানিয়েছে। বাংলাদেশ এখন কর্তৃত্ববাদী ভয়াবহ দুঃশাসনের আগুনে জ¦লছে। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী এখন রক্তের হোলি খেলায় মত্ত। অবৈধ মিডনাইট সরকার দেশকে আইয়্যামে জাহেলিয়াতের মতো পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। বর্তমানে সারাদেশে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা ধর্ষণ, নারী নির্যাতন-খুন-দখল ও গুমের উৎসবে মেতে উঠেছে। দেশে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। কোভিড-১৯ করোনা মহামারিতে দিগবিদিক জ্ঞানশূন্য মানুষ চরম অসহায় ও দুর্বিপাকগ্রস্ত হয়ে পড়লেও সরকার করোনা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ তো করছেই না, বরং জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখতে বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার ও তাদের ওপর জুলুম-নির্যাতন বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশ পরিচালনার মতো করোনা মোকাবিলাতেও সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এখন টিকা সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনাতেও ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। করোনা নিয়ে সরকারের ব্যর্থতা, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, সমন্বয়হীনতা দেশ-বিদেশে সমালোচিত হচ্ছে। অথচ বিএনপি নিজস্ব সামর্থ্য নিয়ে করোনা রোগীদের সহযোগিতায় ওষুধ, অক্সিজেন, খাদ্যসহ অন্যান্য সহায়তা দিচ্ছে। বিএনপির এই মানবিক উদ্যোগেও আওয়ামী দুর্বৃত্তরা হামলা চালাচ্ছে, বাধা দিচ্ছে। বিনা ভোটে ক্ষমতা দখলকারী ব্যর্থ সরকার কোনো কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সব কিছুই এখন তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় জনগণের নিকট তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। করোনায় অসহায় মানুষকে রক্ষা নয়, বরং জনগণ তাদের বিপক্ষে বলেই তারা জনগণকে শত্রু ভেবে বিভিন্ন কায়দায় জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতে ব্যস্ত রয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-নেতারা বলে থাকেন যে, আওয়ামী লীগ সরকারের জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে। দলের পক্ষ থেকে আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বলে কিচ্ছু নেই, তাদের জনপ্রিয়তা এখন শূন্যের কোঠায়। পুলিশের বন্দুক আর গুম-খুন-মামলা-জেল দিয়ে ভয়ঙ্কর শাসন কায়েম করে মানুষকে দমন করা হচ্ছে। সৎ সাহস থাকলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনপ্রিয়তা যাচাই করার জন্য এর আগেও আমরা আওয়ামী লীগকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলাম। কিন্তু সরকার সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভীত হয়ে নিজেদের সরকারের অধীনে অনুগত প্রশাসনের মাধ্যমে দিনের ভোট রাতে অনুষ্ঠিত করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কলঙ্কিত ও ব্যর্থ করে দিয়েছে। আমরা এখনও সরকারকে আহবান জানাই-এতই যদি জনপ্রিয়তা বেড়ে থাকে তাহলে এখন ক্ষমতা ছেড়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। এদেশের জনগণ আপনাদের জনপ্রিয়তা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। অনৈতিক আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী-নেতাদের এখন লাজ-লজ্জা বলতে কিছু নেই। তাদের নির্লজ্জ মিথ্যাচার করতে লজ্জাবোধ হয় না। আওয়ামী লীগ শুধু দুর্নীতি-দুঃশাসন-লুটপাট আর অর্থ পাচার নয়, মিথ্যাচারেও সমান পারদর্শী। আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালের নাৎসি সরকারের কুখ্যাত তথ্যমন্ত্রী জোসেফ গোয়েবলসের মিথ্যার থিউরিতে ডুবে আছে। বিএনপির বিরুদ্ধে প্রতিদিন চিরাচরিত মিথ্যাচারের ভাঙ্গা রেকর্ড বাজিয়ে বিষোদগার করাই হচ্ছে তাদের এজেন্ডা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন-বিএনপি হত্যার রাজনীতির উত্তরাধিকার বহন করছে। তাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই-হত্যার রাজনীতি শুরু হয়েছিল মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের আমলেই, সিরাজ সিকদারকে হত্যাসহ স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে রক্ষীবাহিনী সৃষ্টি করে অগণিত মুক্তিযোদ্ধা, বিরোধী দলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকে হত্যার ইতিহাস এদেশের জনগণের মানসপট থেকে এখনও বিলীন হয়নি। আসলে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর গুডবুকে থাকতে এখন আওয়ামী নেতা-মন্ত্রীরা মিথ্যাচারের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। একবার মন্ত্রিত্ব হারিয়ে এবার মন্ত্রিত্ব ফিরে পাওয়া বর্তমান তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও মিথ্যাচার করতে অত্যন্ত পারদর্শী। এই হাসান মাহমুদ সাহেবকেই আওয়ামী লীগের প্রবীণ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম সাজেদা চৌধুরী কোনো এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে প্রকাশ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বেয়াদব হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। আমরা এর চেয়ে আর বেশি কি বলতে পারি। সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী শহীদ জিয়াউর রহমানের হত্যাকান্ডের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার সম্পর্ক আবিষ্কার করে নতুন আষাঢ়ে গল্প ফেঁদেছেন-যা গোয়েবলসকেও হার মানায়। নতুন করে আবার ২১ আগস্ট নিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে মিথ্যাচার শুরু হয়েছে, অথচ ঢাকার সাবেক মেয়র হানিফ পুত্র সাঈদ খোকন হাটে হাাঁড়ি ভেঙ্গে দিয়ে বলেছেন-তারা আগে থেকেই এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে সাবধান করেছিলেন, কিন্তু তিনি তা শোনেননি। এমনকি, সরকার বা প্রশাসনকেও অবহিত করেননি। সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের এই বক্তব্য খুবই রহস্যজনক বলে জনগণ মনে করে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্স বলেন, বরিশালে প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী নেতাদের ব্যানার-ফেস্টুন উচ্ছেদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও তাদের অনুগত প্রশাসনযন্ত্রের মাঝে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। শুধু তাই নয়-এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ওপর আওয়ামী নেতারা বিভিন্নভাবে হামলা, রক্তাক্ত ও তাদেরকে হেনস্তা করেছিল। সরকারি কর্মকর্তারা বিবৃতি দিয়ে আওয়ামী দুর্বৃত্তদের দুর্বৃত্তপনা বিষয়ে বলতে বাধ্য হয়েছেন। বরিশালের ঘটনা সারাদেশে আওয়ামী দুর্বৃত্তায়নের ক্ষুদ্রাংশ মাত্র। অথচ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর দিনের ভোট আগের রাতে অনুষ্ঠিত করা হয়েছিল এই অনুগত প্রশাসনের মাধ্যমেই। এখন তারা নিজেরা নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনে দেশে এখন কোনো শ্রেণি-পেশার মানুষ আওয়ামী লীগের হাতে নিরাপদ নয়। আমরা অবিলম্বে প্রশাসনের প্রতি আওয়ামী দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করছি।