দুই মাস পর নয়াপল্টনের কার্যলয়ে রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪১ পিএম, ১০ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ০১:৩৭ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
প্রায় দুই মাস পর নয়াপল্টনের কার্যলয়ে আসলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন। লাঠি হাতে খুব খুব আস্তে আস্তে সিঁড়ি বেয়ে তিন তলার নিজের দফতরে বসেন রিজভী। কুশল বিনিময় করেন অফিস কর্মীদের সাথে। তাদের শারীরিক অবস্থা, পরিবারের খোঁজ-খবর নেন তিনি।
হঠাত করেই তার অফিসে আসাটায় অফিস কর্মীদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। কাছাকাছি থাকা কয়েকজন নেতা-কর্মীরা ছুটে আসে তাদের প্রিয় রিজভীকে দেখতে। মাস্ক পরে রুমে ঢুকে সালাম সালাম দেয় তারা। অফিস কর্মীদের সাথে উঠোন বৈঠকের মতো বসে নিজের অসুস্থতার সেই দিনগুলোর স্মৃতি রোমস্থ করতে দেখা যায়।
রিজভী বলেন, এখন অনেকটাই সুস্থ বোধ করছি। রিং পরানোর পর আমাকে অনেক সর্তকতার সাথে চলতে হচ্ছে। যেটা আগে কখনোই আমি করিনি। এই করোনাকালে কত জায়গায় আমি মানুষের কাছাকাছি গিয়েছি তার কোনো হিসাব নেই। প্রতিদিন আসবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন অফিসে আসার চেষ্টা করবো যদি শরীরটা এরকম ভালো থাকে।
তিনি বলেন, মহান সৃষ্টি কর্তা আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীনের রহমতে আমি সুস্থ হয়েছি। আমার সুস্থতার জন্য দেশে-বিদেশে কর্মী-সমর্থকসহ দেশবাসী দোয়া করেছে, মিলাদ পড়েছেন, রোজা রেখেছেন, প্রার্থনা করেছেন আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে সুস্থ রাখুন, হেফাজতে রাখুন। রিজভীর অনুপস্থিতিতে দফতরে দায়িত্ব থাকা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সাড়ে ১১টায় নয়া পল্টনের অফিসে কার্যালয়ে আসেন। রিজভীর সাথে দলীয় কাজ-কর্ম নিয়ে একান্তে কথা বলেন তিনি।
প্রিন্স বলেন, রিজভী ভাই অফিসে এসেছেন। তার অনুপস্থিতিতে আমার ওপর দায়িত্ব ছিলো দফতর দেখভালের। পেন্ডিং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আমি ওনাকে অবহিত করেছি। তিনি বলেন, শনিবার থেকে রিজভী ভাই আশা করছি নিয়মিত অফিসে আসবেন। বেলা সাড়ে ১২টায় রিজভী নয়াপল্টনের অফিস ছেড়ে যান।
সর্বশেষ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব নয়া পল্টনে অফিস করেন গত ১২ নভেম্বর। এর পরদিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের একটি মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নিজের গাড়িতে ওঠার পরই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। এরপর ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি হন রিজভী। গত ২১ নভেম্বর তার হৃদযন্ত্রে এনজিওপ্লাস্টের মাধ্যমে রিং পরানো হয়। চার দিন পর সুস্থ হয়ে তিনি মোহাম্মদপুরের বাসায় ফেরেন। গত ৩ ডিসেম্বর রিজভীর সহধর্মিণী আরজুমান আরা বেগম ও শ্যালিকা তাহমিনা বেগমের করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ আসে। স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে বর্তমানে তিনি আরেকটি বাসায় আছেন।
রিজভী জানান, তার সহধর্মিণী ও শ্যালিকা সুস্থ আছেন, তেমন কোনো উপগর্গ নেই। চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন তারা।