বিএনপি'র সাবেক মহাসচিব আব্দুস সালাম তালুকদারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মির্জা ফখরুলের বাণী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:১৭ পিএম, ১৯ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:১৩ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৪
"বিএনপি'র সাবেক মহাসচিব, সাবেক মন্ত্রী, বরেণ্য রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর আত্মার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। জনগণের নাগরিক অধিকার তথা বাক, ব্যক্তি, চিন্তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করার সংগ্রামে ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদার এর ভূমিকা ছিল ঐতিহাসিক। ছাত্রজীবন থেকে গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা ও অবরুদ্ধ গণতন্ত্র পূণ:রুদ্ধারের সংগ্রামে তিনি সবসময় থেকেছেন গণআন্দোলনের সম্মুখ কাতারে।
৮০'র দশকে স্বৈরশাসনের অবসানের লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বেগবান করতে বিএনপি'র নেতৃত্বে ৭ দলীয় ঐক্যজোটের পক্ষ থেকে অপরাপর রাজনৈতিক জোট, দলসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার সংগঠনের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে স্বৈরাচার বিরোধী ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনকে গণঅভ্যুত্থানে পরিণত করতে এবং পরবর্তীতে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ, গণতন্ত্র ও জনঅধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
জনাব সালাম তালুকদার ছিলেন স্পষ্টবাদী, ঋজু ও নানা বিরোধীতার মুখেও নিজ কর্তব্যে দৃঢ় একজন উচ্চ মার্গের রাজনৈতিক নেতা। তিনি এদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একজন মার্জিত ও সংস্কৃতবান রাজনীতিবিদ হিসেবে সমাদৃত ছিলেন। বিএনপি মহাসচিবের দায়িত্ব পালনকালে জনাব সালাম তালুকদার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করেছেন। দুই মেয়াদে মন্ত্রী হিসেবেও তিনি দেশের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী দর্শনকে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচারের কবল থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণে ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের অবদান দল ও দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁর শুভানুধ্যায়ী ও পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।"