পবিত্র আশুরা উপলক্ষে জনাব তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল এর বাণী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩০ পিএম, ১৯ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:২৫ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
"১০ মহররম সারা বিশ্বের ইসলাম ধর্ম অনুসারীদের জন্য অত্যন্ত ঘটনাবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। পবিত্র আশুরার এ দিনে ঘটেছিলো এক বিষাদময় ঘটনা। অন্যায় অবিচার আর জুলুমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে মহানবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ) এ দিনে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। কারবালা প্রান্তরে সেই হৃদয় বিদারক ঘটনা আজও মানুষকে কাঁদায় এবং ব্যথিত করে। সত্য, ন্যায় ও ইনসাফের জন্য তাঁর আত্মত্যাগ বাংলাদেশসহ সারা দুনিয়ার মুসলমান ও বিশ্ববাসীর জন্য এক মহিমাময় অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
অন্যায়, অবিচার, অন্যায্য ও অবৈধ অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করা মানুষের কর্তব্য। এটাই হচ্ছে ইসলামের মূল শিক্ষা। মহানবী (সাঃ) অন্যায়কে প্রতিহত করতে নির্দেশ দিয়ে গেছেন। তাঁর উম্মত হিসেবে আমাদের কর্তব্য যেকোন গণবিরোধী ক্ষমতাসীন গোষ্ঠির কৃত অনাচার আর অবৈধ ক্ষমতার দাপটে মানুষকে দমিয়ে রাখা অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। ক্ষমতার প্রতি নিবিড় নিবিষ্ট মোহে আচ্ছন্ন থেকে যারা ন্যায়-নীতি-ন্যায্যতাকে অগ্রাহ্য করেছিল তাদের বিরুদ্ধেই ইমাম বাহিনী মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে লড়াই চালিয়ে গেছেন।
কারবালায় ইমাম বাহিনীর শাহাদাৎ বরণ সর্বকালে দেশে দেশে বর্বর দু:শাসনের কবল থেকে মুক্ত হতে মজলুম মানুষকে প্রেরণা যোগাবে। আমি শহীদ হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ), তাঁর পরিবারের সদস্যবর্গ এবং কারবালার সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই, তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।"
এদিকে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বাণী দিয়েছেন।
"হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ) এর শাহাদাত বরণের শোকাবহ স্মৃতি বিজড়িত দিন ১০ মহররম আমাদেরকে আজও আমাদেরকে গভীর দুঃখ ও বেদনায় ভারাক্রান্ত করে তোলে। বিশ্ব মুসলিমসহ সারা মানবজাতিকে শোক ও বেদনায় স্তব্ধ করে দেয়। অসত্য, জুলুম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেহাদ এবং মানবিক সাম্য ও মানবমর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে কারবালায় তিনি নিজ পরিবার, ঘনিষ্ঠজন ও অনুচরবৃন্দ জালিমের হাতে শহীদ হন।
শহীদে কারবালার মূল বার্তা হচ্ছে-ব্যক্তিগত কোন অভিলাষ নয় বরং অবিচার, জবরদস্তি, মিথ্যা অহংকার ও আত্মসম্মানহীন নিপীড়কের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করা। ইমাম হোসেন (রাঃ) সেই অনুকরণীয় দৃষ্টান্তই স্থাপন করেছেন তাঁর আত্মদানের মধ্য দিয়ে। তাঁর নিজের আত্মত্যাগের এই ঘটনা সারা দুনিয়ার সকল মজলুমকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও প্রতিবাদী হতে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে প্রেরণা যুগিয়ে চলেছে। সেই প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশের জনগণের কাঁধে চেপে বসা ভোটারবিহীন অনৈতিক সরকারের বিরুদ্ধে সকলকে ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।
আজকের এ দিনে আমি হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ) এর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমি ইমাম হোসাইন (রাঃ), তাঁর পরিবার এবং কারবালার শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।"