ইতিহাস কোনো স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষুকে পরোয়া করে না - কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০১ এএম, ১১ আগস্ট,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:২৭ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইতিহাস কোনো স্বৈরশাসকের রক্তচক্ষুকে পরোয়া করে না। ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ড শুধু বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ওপর নয়, এই হত্যাকান্ড বহুকষ্টে অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের ওপর নৃশংসতম হামলা।
আজ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের মুখপাত্র উত্তরণ আয়োজিত ‘শোকাবহ আগস্ট- ইতিহাসের কালো অধ্যায়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে একথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধেই পরিচালিত হয়েছিল ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ড উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশকে নেতৃত্ব শূন্য করতে ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর জেলের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতা ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। তিনি এ সকল অভিন্ন ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা বলেও মনে করেন। আগস্ট হত্যাকান্ডের কুশীলবরা এখনও সক্রিয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মঞ্চের খুনিরা বিচারের মুখোমুখি হয়েছে, ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে কিন্তু এখনো কয়েকজন বিদেশে পলাতক, তাদেরকে ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক কূটনৈতিক প্রয়াস অব্যাহত আছে। মঞ্চের খুনিদের পেছনে যারা নেপথ্যের ষড়যন্ত্রের নায়ক, তাদের গতকাল খুঁজে বের করা দরকার জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ সকল ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে তাদের স্বরূপ উন্মোচন করতে হবে আগামী প্রজন্মের জন্য। বাংলাদেশ থেকে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করার জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা আবশ্যক হয়ে পড়েছে বলে জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, মূল্যবোধ ও আদর্শকে একে একে আক্রমণ করা হচ্ছে, তাই ষড়যন্ত্রের রাজনীতিকে চিরতরে নির্মূল করতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এদেশে যারা রক্তাক্ত আগস্ট ঘটিয়েছিল এবং এর বেনিফিশিয়ারি ছিল প্রকৃতির আদালতেই তাদের বিচার সম্পন্ন হয়েছে। উত্তরণের সম্পাদক ড. নুহ- উল-আলম লেনিনের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ও দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া। এর পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। এ সময় তিনি তার বক্তব্যে বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল তারাই মুছে যাচ্ছে ইতিহাসের পাতা থেকে।