কোম্পানীগঞ্জ অচল করে দেওয়ার হুমকি দিলেন ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১৪ পিএম, ১০ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:১০ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আর কোনো নেতা-কর্মীর গায়ে হাত দেওয়া হলে ভয়ংকর রক্তাক্ত পরিণতি হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে মাহবুবুর রশিদ। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র। একই সঙ্গে তিনি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা বন্ধ না হলে লাগাতার অবরোধ-হরতালসহ নানা কর্মসূচি দিয়ে অচল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার (৯ আগস্ট) রাত নয়টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কেজি স্কুল সড়কের বাসভবনে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে লাইভে এসে মাহবুবুর রশিদ এসব কথা বলেন।
তিনি সেতুমন্ত্রীর অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের পক্ষের অন্যতম নেতা। আর তাঁদের বিপক্ষে আছেন ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
ফেসবুক লাইভে মাহবুবুর রশিদ বলেন, ‘বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রকাশ্যে গুলি হলো, দিনের বেলায় দুজনের হাত-পা ভেঙে দেওয়া হলো। একজন আসামিকেও এ পর্যন্ত ধরা হলো না। তাঁদের খোঁজাও হলো না। প্রশাসন কী করছে? আপনারা যদি মনে করেন আমরা কিছুই বুঝি না, তাহলে তো ভুল করছেন। এটা বাদ দিয়ে কোথায় চরফকিরা গিয়ে সেখান থেকে লোক ধরে আনছেন। ঘটনার সঙ্গে সে সম্পৃক্ত আছে কি না, বিবেচনায় আনলেন না। এতগুলো মামলা এ পর্যন্ত আমরা করলাম। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর বাদলের মামলাসহ আমাদের অনেকগুলো মামলা নথিভুক্ত করা হয়নি।’
মাহবুবুর রশিদ মামা সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আপনাকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, এসব অপরাজনীতি আপনি বন্ধ করুন। আমাকে গ্রেপ্তার করুন, আমি বাসায় আছি। আমার মাকে আপনার ভাই (আবদুল কাদের মির্জা) গালি দিয়েছে। আপনি যদি ওই রকম ভাই হতেন, এ রকম ভাইকে বহু আগে আপনি গলা টিপে হত্যা করতেন। রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দিতেন। আপনি তা করেননি, কারণ, আপনাদের মুনাফেকির স্বভাব আছে। আপনারা অতীত ভুলে যান। আমাদের ধৈর্যের একটা সীমা আছে। এ সীমাটা লঙ্ঘন করতে আমাদের বাধ্য করবেন না।’
কোম্পানীগঞ্জের এই নেতা বলেন, ‘এখানে যদি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আর হয়রানির চেষ্টা করা হয়; লাগাতার অবরোধ, হরতাল এবং আরও কিছু কর্মসূচি আমাদের আছে। কয়জনকে গ্রেপ্তার করবেন? এর জবাব আমরা মন্ত্রীর কাছ থেকে নেব।’
সেতুমন্ত্রীর ভাগনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা কোথায় আছে, আপনারা জানেন। ব্যক্তিবিশেষের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য আপনারা মাঠে নেমেছেন। প্রশাসনের কাজ রাজনীতি করা নয়।’