"বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ" ভুঁইফোঁড় সংগঠন বলে অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১৯ পিএম, ৯ আগস্ট,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১১:২৫ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
এবার বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগকে ‘ভুঁইফোঁড় সংগঠন’ বলে এর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ব্যারিস্টার জাকির আহম্মদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা এ অভিযোগ দেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ নামে একটি সংগঠনের সভাপতি হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরই আলোচনায় আসে ‘ভুঁইফোঁড় সংগঠন’ ইস্যুটি। এরই ধারাবাহিকতায় ব্যারিস্টার জাকিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হলো। নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মো. আওলাদ হোসেন, সদস্য আবদুল্লাহ আল মাছুম, লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সাদেক গত বুধবার এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার জাকির আহম্মদ নিজেকে বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দাবি করে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। অবৈধ প্রভাব ও কূটকৌশলের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পরিচালক হয়ে শত কোটি টাকার মালিক বনে যান। ওই ভুঁইফোঁড় সংগঠনের প্রভাব খাটিয়ে তিনি তার নিজ গ্রাম লাউর ফতেহপুরে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছয়-সাতবার সভাপতি হন। ওই প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তিসহ হিন্দুদের শ্মশানের জায়গা জবরদখল করেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন মন্ত্রীর সঙ্গে ছবি সংযোজন ও প্রদর্শন করে দাপট খাটিয়ে এলাকায় দমন-পীড়ন, মানুষের নামে মিথ্যা মামলাসহ দাঙ্গা হাঙ্গামা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছেন। এসব কর্মকান্ডের অভিযোগে ইতোমধ্যেই ব্যারিস্টার জাকির আহম্মদকে লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে গতকাল রবিবার এ প্রতিবেদককে বলেন, ব্যারিস্টার জাকির আহম্মদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ব্যারিস্টার জাকির আহম্মদ বলেন, ‘আমাকে রাজনীতিতে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্যই মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়েছেন। তারাই নিজ নিজ কর্মকান্ডে বিতর্কিত। আমি দোষী প্রমাণিত হলে মাথা পেতে নেব। না হলে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগের কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি জেলা কমিটির সম্পাদক। ইউনিয়ন কমিটি কীভাবে আমাকে বহিষ্কার করে?’
নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ হালিম গতকাল মুঠোফোনে বলেন, বর্তমানে আলোচিত ভুঁঁইফোঁড় সংগঠনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সরকার স্বোচ্ছার। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় যারাই এসব সংগঠনের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাই।