সভাপতির আত্মীয়স্বজনে ভরপুর যশোর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ২ আগস্ট,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৫৪ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
অনুমোদন পাওয়া যশোর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন পরিবারের একচ্ছত্র প্রাধান্য পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত শনিবার বিষয়টি ‘টক অব দ্য টাউনে’ পরিণত হয়। এ নিয়ে ফেসবুকেও আলোচনার ঝড় ওঠে। তবে এক ইউপি চেয়ারম্যান নিজের স্ত্রীর বাদ পড়া নিয়েও অনেকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করেন।
কমিটিতে সভাপতির ছেলে, ভায়রা ভাই ও শ্যালক জায়গা পেয়েছেন। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তরুণ ও সাবেক ছাত্রনেতা জায়গা করে নিলেও বাদ পড়েছেন বিগত কমিটির কেউ কেউ।
সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের ছেলে সামির ইসলাম পিয়াস সদস্য হয়েছেন। ভায়রা ভাই শেখ আতিকুর বাবু শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এবং শ্যালক হুমায়ুন কবির কবু হয়েছেন সহসভাপতি। এর মধ্যে শ্যালক আগের কমিটিতে থাকলেও নতুন যুক্ত হয়েছেন ছেলে ও ভায়রা ভাই। ছেলে সামির ইসলাম পিয়াসকে কেউ কখনো রাজনীতির মাঠে দেখেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তিনি থাকেনও ঢাকায়। ভায়রা ভাই শেখ আতিকুর বাবুও ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা।
গত কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর রোকেয়া পারভীন ডলি, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক কাজী রফিক ও দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু নতুন কমিটিতে স্থান পাননি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, ‘হুমায়ুন কবির কবু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকে ছাত্রলীগ করেন। তিনি বিগত দুটি কমিটিতে শিল্পবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। শেখ আতিকুর বাবুর বাবা দলের দুর্দিনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন। মা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক ছিলেন। তিনি নিজেও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় সভাপতি। আর আমার ছেলে ইংল্যান্ড থেকে এলএলবি এলএলএম শেষ করে যশোরের রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছে। সুতরাং তারা যার যার যোগ্যতায়ই পদ পেয়েছেন। আমার আত্মীয়তার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।’
২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলন থেকে শহিদুল ইসলাম মিলনকে সভাপতি ও শাহীন চাকলাদারকে সাধারণ সম্পাদক করে ২২ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। শুক্রবার ১৯ জন উপদেষ্টাসহ ৯৪ সদস্যের এই কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।