খুলনায় কর্মহীন মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ, সরকারের অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তে ভয়াবহ রুপ নিয়েছে করোনা: মঞ্জু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪১ পিএম, ১ আগস্ট,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:১৭ এএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, সরকারের অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তের কারনে ভয়াবহ রুপ নিয়েছে করোনা। এবারের লকডাউন সবচেয়ে কঠোর হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। অথচ ব্যবসায়ীদের অনুরোধে ১ আগস্ট শিল্পকারখানা চালুর অনুমতি দিয়েছে। লকডাউনের মাঝপথে এমন সিদ্ধান্ত সবাইকেই হতবাক করেছে।
একদিনেই কীভাবে লাখ লাখ মানুষ ঢাকায় ফিরবে, সে বিষয়টি সরকার ভাবেনি। সরকার, বিজিএমইএ কিংবা কারখানা কর্তৃপক্ষ কেউই শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার যানবাহনের ব্যবস্থা করেনি। উল্টো সময়মতো কাজে না ফিরলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে।
এমন পরিস্থিতে ঢাকায় ফিরতে মরিয়া দেখা গেছে পোশাক শ্রমিকদের। দিনভর পথে পথে দুর্ভোগকে সঙ্গী করে ঢাকায় ফিরেছেন শ্রমিকরা। তাহলে লকডাউনের অর্থ কী? সরকারের খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত লকডাউনের সুফল শেষ করে দিয়েছে। লকডাউনের দুই সপ্তাহ পর যে সুফল পাওয়া যেত, তা বিফলে গেলো। ফেরি ও বিভিন্ন যানে গাদাগাদি করে কর্মস্থলে ফেরার মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়বে।
আজ রবিবার (০১ আগস্ট) দুপুরে নগরীর সদর থানার ২১নং ওয়ার্ডে লকডাউনে কর্মহীন ক্ষুধার্ত সোয়া ৩শ’ মানুষের মাঝে মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে রান্না খাবার বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জু আরও বলেন, একটি পক্ষকে সুবিধা দিতেই এমন আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কে কত লবিং করতে পারেন তার ওপর সরকার সিদ্ধান্ত নেয়। কারখানা বন্ধ থাকলে অনেক ক্ষতি হবেÑএমন যুক্তি দেখিয়েছে বিজিএমইএ। একই যুক্তি তো দোকান মালিকদের আছে, ছাত্র-ছাত্রীদেরও আছে। অন্য কারও দাবি তো সরকার কানে নেয়নি। ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সারাদেশে ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
অপরিকল্পিত লকডাউনে জনগণের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। দিন আনে দিন খাওয়া মানুষগুলোকে খাদ্য সহায়তা এবং আর্থিক সহায়তা ব্যতীত লকডাউন কখনো কার্যকর হয় না। অযোগ্যতা, দুর্নীতি পরায়ণতা এবং আন্তরিকতার অভাবে আত্মহননকারী সিদ্ধান্ত সরকার গ্রহণ করছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় চরম ব্যর্থতার জন্য সকল দায় নিয়ে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা জাফরুল্লাহ খান সাচ্চু, শাহজালাল বাবলু, আরিফুজ্জামান অপু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মেহেদী হাসান দিপু, চেীধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, মিজানুর রহমান মিলটন, আবু সাঈদ শেখ, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আসলাম হোসেন, আলমগীর ব্যাপারী, রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম শফি, জামাল মোড়ল, আলতাফ হোসেন, হাসান আলী বাবু, ইমাদুল ইসলাম, ফিরোজ আহমেদ, সাকাওয়াত হোসেন, আল আমিন তালুকদার প্রিন্স, শামীম খান, আসাদুজ্জামান মিঠু, সাজ্জাত হোসেন জিতু, মিলন শিকদার, ফারুক হোসেন, রবিউল ইসলাম রবি, আব্দুল আহাদ শাহীন, মোস্তাহিদুল হক দিহান, রুবেল জমাদ্দার, দেলোয়ার হোসেন, মেহেদী মোল্লা, সেলিম বড়মিয়া, তালেব মোল্লা, আ. সাত্তার, আরিফ আলম, তুহিন ইসলাম, মাসুদ রুমী, আলী মোল্লা, মিলন হাওলাদার, খন্দকার মহসিন, মো. রাফি, সুমন মাতুব্বর, মানিক মোল্লা, জাহিদুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, সোহেল আকন প্রমূখ।