ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জুয়েল ও যুগ্ম আহবায়ক সবুজ গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:২২ পিএম, ১ আগস্ট,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:২৮ পিএম, ৬ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
করোনা ভাইরাসের মহাদুর্যোগে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচি শেষে গতকাল শনিবার দুপুরে ফরিদপুর জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ও জেলা বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজুর রহমান সবুজকে গ্রেফতারের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি'র স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু।
আজ রবিবার (১ আগস্ট) এক বিবৃতিতে বিএনপি'র স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক বলেন, "বর্তমান নিষ্ঠুর ও গণবিরোধী সরকার ফ্যাসিবাদী কায়দায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদেরকে দমণ-নিপীড়ণের ধারাবাহিকতায় গতকাল ফরিদপুর জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজুর রহমান সবুজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিএনপির যেকোন শান্তিপূর্ণ ও মানবিক কর্মসূচি থেকে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করতে গ্রেফতারী অভিযান, হয়রানী ও জুলম চালানোকে দৈনন্দিন কর্মসূচিতে পরিণত করেছে বর্তমান অবৈধ সরকার।
সরকার দেশ শাসনে নজীরবিহীন ব্যর্থতা ঢাকতেই বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে আটকে রাখতে সুদুরপ্রসারী মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এসব মাস্টারপ্ল্যানের উদ্দেশ্যই হচ্ছে অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করা। তবে সরকারের সকল অপকর্ম ও অপশাসনের মূলোৎপাটনে জনগণের ক্ষোভ এখন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। জনদাবী মেনে দমন-নিপীড়ণ বন্ধ এবং পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে বর্তমান সরকারকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।"
মীর সরফত আলী সপু বিবৃতিতে অবিলম্বে সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল এবং মাহফুজুর রহমান সবুজ এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার ও তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।
এদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
করোনা ভাইরাসের মহামারীর সংকটময় মূহুর্তে স্বেচ্ছাসেবক দল ফরিদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে খাদ্য দ্রব্য বিতরণকালে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল-ফরিদপুর জেলা শাখার আহবায়ক ও ফরিদপুর জেলা বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজুর রহমান সবুজকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম প্রধান ও কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন মুন্না, হাবিবুর রহমান হাফিজ (কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি-ফরিদপুর বিভাগ), কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আহসান হাবীব প্রান্ত, সহ-সাধারণ সম্পাদক শফিউদ্দিন সেন্টু, মুস্তাফিজুর রহমান বাচ্চু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বারেক ইকবাল এবং বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন মুন্সি।
আজ এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, "জনগণকে সাথে নিয়ে বর্তমান আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার বিএনপি'র নেতৃত্ব ধ্বংস করতেই অবৈধ মিডনাইট সরকার তাদের অনুগত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন সমূহের নেতাকর্মীদেরকে যেকোন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে গ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে। করোনার মহাক্রান্তিকালে গরীব ও অসহায় মানুষদের মাঝে শান্তিপূর্ণভাবে খাবার বিতরণের সময় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল-ফরিদপুর জেলা শাখার আহবায়ক ও ফরিদপুর জেলা বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজুর রহমান সবুজকে পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার তারই ধারাবাহিকতা।
দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার এখন বর্তমান সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ণে ক্ষতবিক্ষত। আইনের শাসন না থাকায় ঘরে-বাইরে কারো ন্যুনতম নিরাপত্তা নেই। বর্তমান আওয়ামী শাসনামলে কোন অপরাধের সঙ্গে জড়িত না হয়েও নির্দোষ লোককে অপরাধী সাজিয়ে মামলা, গ্রেফতার, কারান্তরীণ ও হয়রানী করা হচ্ছে। বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে এবং বিরোধী নেতা-কর্মীসহ সাধারণ নাগরিকের মনে ভীতি সঞ্চার করতেই ফ্যাসিবাদী কায়দায় ধারাবাহিকভাবে সরকারি জুলুম-নির্যাতন অব্যাহত রাখা হয়েছে। তবে অতীতে যেমন কোন স্বৈরশাসক বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম চালিয়ে আন্দোলন দমাতে সক্ষম হয়নি, বর্তমান শাসকগোষ্ঠীও ব্যর্থ হবে।"
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে অবিলম্বে সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল এবং মাহফুজুর রহমান সবুজ এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার ও তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।