চাঁদাবাজির মামলায় ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৮ এএম, ৩০ জুলাই,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৪৯ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগে করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রলীগ নেতা আকতারুল করিম রুবেলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার এক দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ রইচ হোসেন। অপরদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) আকতারুলকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িত অন্য আসামিদের শনাক্তের জন্য আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ রইচ হোসেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আশেক ইমাম তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আকতারুল ঢাবির বাংলা বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক। সোমবার (২৬ জুলাই) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের একজন কর্মচারীকে মারধর করে চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে তাকে আটক করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী কর্মচারী মামলা দায়ের করলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী মনির হোসেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ওয়ার্ড বয় হিসেবে কর্মরত। সোমবার সকাল ৯টার দিকে মনির ও তার সহকর্মী মো. সোহেল ও হারুন নাস্তা করতে হাসপাতাল থেকে হোটেলে যাচ্ছিলেন। এ সময় আসামি আকতারুলসহ অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজন ভুক্তভোগীর পথরোধ করে তার কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতে থাকা কাঠের লাঠি ও রড দিয়ে মারাত্মক আঘাত করে। তাকে বাঁচাতে সহকর্মীরা এগিয়ে আসলে তাদেরও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাঠ ও রড দিয়ে পিটিয়ে আঘাত করে হামলাকারীরা। এক পর্যায়ে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আসামি আকতারুলকে আটক করলেও অন্য আসামিরা কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের কর্মচারী মনির হোসেন বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।