জয়ের হাত ধরেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ - কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৮ এএম, ২৮ জুলাই,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৩৮ এএম, ১০ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
উন্নয়ন ও অর্জনের স্থপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় আসন্ন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরেই বিশ্বকে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে “জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রসরমান ডিজিটাল প্রযুক্তি : পথিকৃৎ মুজিব হতে সজীব” শীর্ষক ওয়েবিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ আশা প্রকাশ করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপই হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সদস্যপদ গ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রযুক্তিমুখী অভিযাত্রা শুরু করেন, ১৯৭৫ সালে ১৪ জুন বঙ্গবন্ধু বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নের যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ। সততা, নিষ্ঠা এবং দক্ষতার সাথে সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, মহামারি করোনায় যখন থমকে গেছে গোটা বিশ্ব তখন একের পর এক লকডাউনে স্থবির সরকারি সেবা আর ব্যবসা-বাণিজ্য। এখন আমরা বুঝেছি ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে কী? করোনাকালে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা বাণিজ্যসহ প্রতিটি খাতে তথ্যপ্রযুক্তির জাদুকরী স্পষ্ট অনুভব করেছে বাংলাদেশ।
মন্ত্রী বলেন, করোনাজনিত ছন্দপতনের মাঝেও ডিজিটাল সেবায় দেশের জনগণ পেয়ে যাচ্ছে গতিময় সেবা। কোনও কিছুই থেমে নেই। এগিয়ে চলেছে ডিজিটাল সেবার আওতায়। সজীব ওয়াজেদ জয় এক নির্মোহ, নিবেদিত প্রাণ, দেশপ্রেমিক এবং স্বপ্নবান বিজ্ঞানী। যাকে নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত গর্ববোধ করি, আর আইসিটি খাতের এ পরিবর্তনের নীরব স্থপতি সজীব ওয়াজেব জয়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনের ম্যানিফেস্টোতে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন ঘোষণা করা হয়েছিলো তখন মানুষ এ নিয়ে নানান ব্যঙ্গ করেছিলো, জনগণ ব্যাঙ্গাত্মক করে বলতো- ডিজিটাল বাংলাদেশ আবার কী? আজ মাত্র একযুগের ব্যবধানে এদেশের মানুষকে বুঝাতে হয় না, মানুষ উল্টো বুঝিয়ে দিচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে কী? আজকের বাংলাদেশ আর একযুগের আগের বাংলাদেশ এক নয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা এখন নতুন বাংলাদেশের বাসিন্দা। বদলে যাওয়া বাংলাদেশ এখন পারমাণবিক ও স্যাটেলাইট বিশ্বের সদস্য। বদলে যাওয়া বাংলাদেশ আজ জয় করেছে অসীম সম্ভাবনার সুনীল সমুদ্রসীমা। বাংলাদেশ আজ তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ ঘুচিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে।
তিনি বলেন, পিতার অর্জনের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের সুস্পষ্ট অভিলক্ষ্যে। আর এ লক্ষ্য অর্জনের প্রভাবক হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। প্রযুক্তির বদলে যাওয়া হাওয়া যে জাতি ধরতে পেরেছে তারাই এগিয়েছে টেকসই উন্নয়নের গতিময় পথনকশা ধরে, আর এখানেই দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। যিনি ডিজিটাল বিশ্বে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করেছেন “রোয়ারিং টাইগার” হিসেবে। সড়কমন্ত্রী বলেন, বিএনপি শেখ হাসিনা সরকারকে নিয়ে নানান মিথ্যাচার করছে। কিন্তু শেখ হাসিনার পুত্র-কন্যা নিজ নিজ যোগ্যতা ও অধিক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তারা হাওয়া ভবনের মতো বিকল্প কোথাও কোনও ক্ষমতা কেন্দ্র বা সরকারের কোনও কাজে হস্তক্ষেপ করে বাধা সৃষ্টি করেনি, যা বিএনপির শাসনামলে ছিলো নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।
আওয়ামী লীগ সাধারণ আরও বলেন, এখন কোনও রাজনীতি নেই, এখন রাজনীতি হচ্ছে মানুষকে বাঁচানো এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো। দেশের মানুষকে বাঁচাতে মানুষের সুরক্ষায় এখন দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশ ও জনগণের এই সংকট বিএনপি এখনও অসহায় মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে ধান ভানতে শীবের গীত গেয়ে যাচ্ছে অবিরাম, মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বিএনপির গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন মানুষ বেঁচে না থাকলে কাকে দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বিএনপি? আবারও বিএনপিকে এই সংকটকালে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে আরও সংযুক্ত ছিলেন উপকমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ভিসি ডক্টর হাবিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডক্টর মুনাজ আহমেদ নূর। ওয়েবিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভিসি অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম।