তারেক রহমানের নেতৃত্বেই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটানো হবে - আমীর খসরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৬ এএম, ২৮ জুলাই,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৫৪ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বেই বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসুর মাহমুদ চৌধুরী। সোমবার বিকালে এক ভার্চুয়াল আলোচনা তিনি এই মন্তব্য করেন। ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন’-এর উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সাবেক ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারের মুক্তির দাবিতে এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হয়।
আমীর খসুর মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপি সরকার পতন আন্দোলনের পথে আছে। এই পথে আমাদের সহযাত্রী হিসেবে আছে দেশের ১৬ কোটি মানুষ, আর যারা গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে, আইনের শাসনে বিশ্বাস করে, নির্বাচিত সরকারে বিশ্বাস করে তারা। সেই গন্তব্যস্থলের দিকে আমরা কিন্তু যাচ্ছি। সেটা কিন্তু কেউ রুখে দাঁড়াতে পারবে না। মুক্তির পথে সবাই চলছে। কেউ সামনে কেউ পিছনে কেউ ডানে কেউ বামে। আমরা সেই পথে চলছি। সব কিছু তৈরি আছে। তারেক রহমান সেই কাজটি করছেন।
তিনি বলেন, আমাদেরকে সমন্বিতভাবে এই পথে (আন্দোলন) শক্তি এনে এটাকে শক্তিশালী করে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে, এই ফ্যাসিস্ট শাসনে অবসান ঘটাতে হবে। এদের বিরুদ্ধে সমস্ত জাতিকে একতাবদ্ধ করতে হবে। সব শ্রেণির মানুষ সেই মুক্তির অপেক্ষায় আছে। আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, বিএনপিতে নেতৃত্বের কোনো সংকট নাই। আমরা সবাই তারেক রহমানের নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছি সুষ্ঠুভাবে, সুন্দরভাবে। একবার এদেশকে মুক্তি করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, একদলীয় বাকশাল থেকে দেশকে তিনি মুক্ত করেছিলেন। আরেকবার এরশাদের স্বৈরাচারী সরকার থেকে দেশকে মুক্ত করেছিলেন এককভাবে যিনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আন্দোলন করে তিনি হচ্ছেন আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আর এবার অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার থেকে দেশকে মুক্ত করবেন তারেক রহমান। তার নেতৃত্বে মুক্ত হবেন বাংলদেশ।
বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, আমি এটাকে সরকার বলি না। আমি একটা রেজিম বলি। এই রেজিমে আছে দেশদ্রোহী রুদ্র। যারা দেশের মানুষের ভোট কেড়ে নিতে পারে, যারা দেশের মানুষের মানবাধিকার কেড়ে নিতে পারে, যারা দেশের মানুষের আইনের শাসন কেড়ে নিতে পারে, যারা দেশের মানুষের নিরাপত্তা কেড়ে নিতে পারে তারা হচ্ছে এই রেজিমের সদস্য। এর মধ্যে রাজনীতিবিদ আছে, এর মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা আছে, এর মধ্যে তথাকথিত সুশীল সমাজের লোক আছে, এর মধ্যে লুটেরা ব্যবসায়ীরা আছে। এটার সাথে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নাই। এটার সাথে আওয়ামী লীগেরও কোনো সম্পর্ক নাই। যদি আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে থেকে থাকে তাহলে এটা আওয়ামী লীগেরও না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের আহবায়ক ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারির সভাপতিত্বে ও ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়ার সঞ্চালনায় এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামুসজ্জামান দুদু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ও কারাবন্দি ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারের ভাই ইয়াকুব সরকার বক্তব্য রাখেন।