করোনার শুরুতে মানুষের যে ভীতি ছিল, এখন আর তা নেই - তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫৯ এএম, ২৭ জুলাই,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১২:২১ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
মানুষের মধ্যে করোনার শুরুতে যে ধরনের ভয় ছিল তা এখন আর নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
লকডাউন মানতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী।
এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, মানুষের মধ্যে করোনার শুরুতে যে ধরনের ভীতি ছিল সে ভীতিটা এখন আর নেই। গত এক বছর গ্রামে করোনা না ছড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামের মানুষের মধ্যে একটি ধারণা জন্মেছিল গ্রামে কখনো করোনা আসবে না। কিন্তু এখন শহরের হাসপাতালে যে রোগীগুলো ভর্তি হচ্ছে তার ৭০ ভাগ রোগী গ্রাম থেকে আসছে। এখন সারাদেশে করোনা ছড়িয়েছে। এ জন্য সবাইকে অনুরোধ জানাবো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে। নিজের স্বার্থেই লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মানা প্রয়োজন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার নিজের সুরক্ষা আমাকেই দিতে হবে। আমার সুরক্ষা অন্য কেউ দিতে পারবে না। এ জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানাবো, আমরা সবাই যেন সরকারের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘জনমত উপেক্ষা করে একটা একগুয়েমি সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার দিন দিন হিংস্র হয়ে যাচ্ছে। ফলে জনগণের ভোগান্তি বেড়েছে’Ñ এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে অতীতে বাংলাদেশে বিএনপি হিংস্রতা দেখিয়েছে। বিশেষ করে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যেভাবে মানুষকে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে হত্যা করা হয়েছে। বহু মানুষকে ঝলসে দেয়া হয়েছে, অনেকেই পঙ্গু হয়ে গেছে। এই হিংস্রতার রাজনীতি বাংলাদেশ এর আগে কখনো দেখেনি। পৃথিবীতে সমসাময়িককালে রাজনীতির কারণে মানুষকে এভাবে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় এটি কেউ দেখেনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা নিজেরা হিংস্রতার রাজনীতি করেন। এ জন্য এ কথাগুলো বলেন।’ ‘সরকার একদলীয় শাসন কায়েমের অভিপ্রায় নিয়ে দেশ শাসন করছে। এ জন্য বিএনপি ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে’Ñ বিএনপির এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এখন যদি লকডাউনের মধ্যে কেউ ফৌজদারি অপরাধে গ্রেফতার হয়, তাহলে তিনি যদি কোনো দল করেন এবং তিনি যদি ফৌজদারি মামলার আসামি হন তাকে কি গ্রেফতার করা যাবে না? আমার প্রশ্ন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা ফৌজদারি আসামির পক্ষ কেন নেন?’