কর্তৃত্ববাদী শাসনে বাক-স্বাধীনতাসহ স্বাধীন মত প্রকাশের পথ সংকুচিত করা হয়েছে-মির্জা ফখরুল

কর্তৃত্ববাদী এই শাসনে দেশে গণমাধ্যম, সাংবাদিক ও নাগরিকদের বাক-স্বাধীনতাসহ স্বাধীন মত প্রকাশের পথ সংকুচিত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

আজ শনিবার (৫ই ডিসেম্বরে) এক বিবৃতিতে প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার চার্জশিট প্রদানের তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রথম আলোর সহযোগী প্রকাশনা কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন ছাত্রের দুঃখজনক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার দিন ঐ অনুষ্ঠানে মতিউর রহমান উপস্থিত না থাকলেও তাকে জড়িয়ে মামলা এবং পরবর্তীতে দ্রুততার সাথে চার্র্জশিট প্রদান করা হয়। এটি যে একটি হয়রানিমূলক পদক্ষেপ এবং মতিউর রহমান ও প্রথম আলোকে চাপে রাখার অপকৌশল তা সহজেই বোধগম্য। 

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্র, সুশাসন ও জনঅধিকার সংকুচিত করে দুঃশাসন এবং কর্তত্ববাদী শাসন কায়েম করছে। কর্তৃত্ববাদী এই শাসনে দেশে গণমাধ্যম, সাংবাদিক ও নাগরিকদের বাক-স্বাধীনতাসহ স্বাধীন মত প্রকাশের পথ সংকুচিত করা হয়েছে। এর মধ্যেও যে সকল গণমাধ্যম সরকারের অগণতান্ত্রিক, গণবিরোধী কার্যকলাপসহ দুর্নীতি, অনাচার, অবিচারের কথা সাহসিকতার সাথে প্রকাশ করছে, তাদের মধ্যে প্রথম আলো অন্যতম। তাই এ সকল সাহসী গণমাধ্যমকে শায়েস্তা করতে অসহিষ্ণু সরকার ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার, হয়রানি, বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণসহ ভয়ের পরিবেশ এবং নানা ধরনের প্রকাশ্য, অপ্রকাশ্য ও অঘোষিত প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা ও চার্জশিট প্রদান করা হয়েছে। আগেও সরকার বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে গ্রেফতার-হয়রানি করেছে, সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মতিউর রহমান একজন স্বনামধন্য সম্পাদক। দীর্ঘ দিনের সাংবাদিকতা ও সম্পাদনায় তিনি গণমাধ্যমকে গণমানুষের দর্পণে পরিণত করার চেষ্টা করছেন। তার বিরুদ্ধে এই হয়রানিমূলক পদক্ষেপ সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে আরো শৃঙ্খলিত, সংকুচিত এবং হুমকির মধ্যে ফেলেছে। তিনি প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলা ও চার্জশিট প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।