তাহিরপুর সীমান্তে মদ, বিড়ি ও পাথরসহ ৪টি নৌকা আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩১ পিএম, ১৭ জুলাই,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৪৭ পিএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে সোর্সরা দাপটের সাথে লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারতে থেকে প্রতিদিন কয়লা ও চুনাপাথরসহ মদ, গাঁজা, ইয়াবা, বিড়ি, কাঠ, বাঁশ, চাল, গরু ও অস্ত্র পাচাঁর করছে। বিজিবি অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় অবৈধ মালামাল উদ্ধার করে কিন্তু চোরাচালানের মূল নায়ক সোর্সদের কখনোই গ্রেফতার করেনা। অথচ এই সীমান্তে র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভারতীয় বিড়ি, মদ, গাঁজা, ইয়াবা ও অস্ত্রসহ অনেককে গ্রেফতার করেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল শুক্রবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার লাউড়গড় সীমান্তে যাদুকাটা নদী, শাহ আরেফিন ওলির আস্তানা ও পুরান লাউড় দিয়ে সোর্স আমিনুল ইসলাম, নুরু মিয়া, জজ মিয়া, শহিদ মিয়া, রফিক মিয়া, জসিম মিয়াগং পৃথক ভাবে ভারতে থেকে কয়লা, পাথর, কাঠ, মদ, গাঁজা, বিড়ি ও ইয়াবা পাচাঁর করে। এখবর পেয়ে বিজিবি নদীতে অভিযান চালিয়ে ২০ ঘনফুট ভারতীয় পাথরসহ ৪টি বারকি নৌকা আটক করে। যার মূল্য অনুমান ২লক্ষ ৪২হাজার ৪শত টাকা।
অপরদিকে পার্শ্ববর্তী চাঁনপুর সীমান্তের বারেকটিলা, রাজাই, নয়াছড়া ও গারোছড়া এলাকা দিয়ে সোর্স রফিকুল ইসলাম, আবু বক্কর ও আলমগীরগং ভারত থেকে কয়লা, বিড়ি ও মদ পাঁচার করে। বিজিবি অভিযান চালিয়ে রাজাই এলাকা থেকে ২বোতল মদ ও ৭হাজার পিস ভারতীয় নাসির উদ্দিন বিড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। এছাড়া চারাগাঁও সীমান্তের এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা তেতুলগাছ ও ১১৯৬পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে সোর্স শফিকুল ইসলাম ভৈরব, রমজান মিয়া, বাবুল মিয়া, খোকন মিয়া, জসিম মিয়া ও শহিদুল্লাহগং সহ বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট ও লাকমা এলাকা দিয়ে সোর্স ইয়াবা কালাম, জিয়াউর রহমান জিয়া ও পার্শ্ববর্তী টেকেরঘাট সীমান্তের চুনাপাথর খনি প্রকল্প, বড়ছড়া, বুরুঙ্গাছড়া ও রজনীলাইন এলাকা দিয়ে সোর্স ইসাক মিয়া ও কামাল মিয়া, বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের রঙ্গাছড়া ও জংগলবাড়ি এলাকা দিয়ে সোর্স লেংড়া জামাল ও মস্তো মিয়া গংদের নেতৃত্বে ভারত থেকে অবাধে কয়লা, পাথর, মদ, গাঁজা, বাঁশ ও ইয়াবা পাচাঁর করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক তসলিম এহাসন সাংবাদিকদের বলেন- জব্দকৃত অবৈধ মালামাল ও নৌকা শুল্ক কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।