দেশে এখন ‘একব্যক্তি’র শাসন চলছে-গয়েশ্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪০ এএম, ৪ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২০ | আপডেট: ০১:৪৭ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
দেশে এখন ‘একব্যক্তি’র শাসন চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। আর গণতন্ত্র না থাকলে সেখানে আইনের শাসন থাকে না। তবে আমি গণতন্ত্র নাই বলি না। বলি এক শ ভাগ ব্যক্তিতন্ত্র। একজন ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর পুরো দেশ আজকে চলছে। দেশে বর্তমান কোনো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে না। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো যদি নিজস্ব চিন্তা-ধারা ও ন্যায় নীতি প্রতিষ্ঠা করতে না পারে জনগণ কোনো সুফল পায় না। জনগণ নানাভাবে নির্যাতিত, নানাভাবে জনগণ অত্যাচারিত হচ্ছে ও নিগৃহীত হচ্ছে। আমরা যে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ করেছি, রক্ত দিয়েছি, জীবন দিয়েছি আমাদের ভাই-বোনেরা সেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা এখন জরুরি। আসুন আমাদের শপথ হোক- ব্যক্তিতন্ত্র নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক।
আজ বৃহস্পতিবার (৩রা ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সম্প্রতি বাউনিয়া বেরিবাঁধ সংলগ্ন বস্তিতে অনিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পবিবারকে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এ আহ্বান জানান। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহ-সভাপতি কে এম মোয়াজ্জেম হোসেনের উদ্যোগে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, পাতিল, কড়াই, প্লেট, চামজ, মগ ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ৭৫টি পারিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বলে জানান মহানগর উত্তর বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। আর গণতন্ত্র না থাকলে সেখানে আইনের শাসন থাকে না। এই অবস্থায় দেশের কোনো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে না। রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো যদি নিজস্ব চিন্তা-ধারা ও ন্যায় নীতি প্রতিষ্ঠা করতে না পারে জনগণ কোনো সুফল পায় না। জনগণ নানাভাবে নির্যাতিত ও নিগৃহীত হয়। এই অবস্থার মধ্যে গণতন্ত্র নাই। আমি গণতন্ত্র নাই বলি না, বলি এক শ ভাগ ব্যক্তিতন্ত্র। একজন ব্যক্তির ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর পুরো দেশ আজকে চলছে। আমার মনে হয় আমাদের যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, রক্ত দিয়েছেন আমাদের ভাইরা। জীবন দিয়েছেন আমাদের ভাইরা। সেই স্বাধীনতার মূল চেতনা এই বিজয়ের মাসে গণতন্ত্র পুনঃউদ্ধারটা খুব জরুরি। আজকের আহ্বান ব্যক্তিতন্ত্র নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক।
বস্তিবাসীদের স্থায়ী পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি জনগণের দল, সামর্থ্য অনুযায়ী দলের নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে দাঁড়ায়। একটা কথা শীত আসলেই এই এলাকার বস্তিতে আগুন লাগে কেন? সরকারকে বলব, অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে গুরুত্ব দিয়ে গভীর পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তদন্ত করে আবিষ্কার করুন। স্বাধীন দেশের কেন এই মানুষগুলো বস্তিতে থাকবে প্রশ্ন রেখে সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, অবিলম্বে এই বস্তিবাসীদের স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুন। তাদের স্থায়ী ঠিকানা দেন। এই বস্তিতে যে লোকগুলো থাকেন-এই জমি সরকারি। তাহলে প্রতিমাসে কারা বিনা পুঁজিতে মাসোহারা নেয়? এর সাথে কারা জড়িত? সরকার ইচ্ছে করলেই এদের খুঁজে বের করতে পারে কিন্তু সেই পারার কাজটা সরকার করে না।
ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো ছিলেন বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি কে এম মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম পারভেজ, সাবের হোসেন চৌধুরী কিরণ, গোলাম রাব্বানী, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সাবেক ছাত্র নেতা নুরুনবী চৌধুরী, সাবেক ছাত্র নেতা মোঃ সরোয়ার তালুকদার, রূপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি কাওছার আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল সাজেদুল আলম টুটুল, বিএনপি নেতা মোঃ আনিসুর রহমান, আলীম মিরাজ, আক্তার হোসেন, আহসানুল্লাহ বাবুল, কামাল হোসেন, সামীর হোসেন, আফসার উদ্দিন, খোরশেদ আলম, আশরাফ আলী গাজী, মোতালেব, নজরুল ইসলাম নজরুল নজু, জামাল হোসেন বাপ্পি, মোঃ শাহ-আলম, মোঃ আব্দুল মান্নান, শহীদুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা মিজানুর রহমান, কাজী সাব্বির হোসেনসহ কয়েক হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।