হতাহতের পরিবারকে আইএলও কনভেনশন আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৪ এএম, ১৪ জুলাই,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৩৪ এএম, ১৭ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খাঁন বলেছেন, হতাহতের পরিবারকে আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংস্থার) কনভেনশন আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ভুল ব্যবস্থাপনা,অবহেলা আর ত্রুটির কারণেই সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকান্ডে এত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। কারখানার পরিবেশ কর্মের উপযোগী নয়। শ্রমজীবী মানুষের পাশে সকলকে দাঁড়াতে হবে। আইন বাস্তবায়নে সরকারের অনীহা আছে।
আজ মঙ্গলবার রূপগঞ্জের সেজান জুস কারখানার আগুনে ভষ্মিভূত ভবন পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে আইন আছে, ত্রুটিও আছে এবং আইন বাস্তবায়নে সরকারের অনীহাও আছে। বাংলাদেশে এখনো ৪০ লক্ষ শিশু শ্রমিক কাজ করছে। সেজান জুস কারখানায় প্রচুর শিশু শ্রমিক কাজ করতো, যেটা দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থি। দেশের এতই যদি উন্নয়ন হয়, তাহলে কলকারখানায় এত শিশু শ্রমিক কেন ? এসব বিষয়গুলো সরকারি সংস্থার নজরে কেন আসেনি ? সরকার যদি যথাযথ ভাবে আইনের প্রয়োগ করতো-তাহলে শিশু শ্রমিকরাও কাজ করতো না আর এই দুর্ঘটনাও ঘটতো না। যে সরকার নির্বাচন ও ভোট ছাড়া নির্বাচিত হয় তারা দায় নিতে চায়না। তবে প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব নেয়া ও দায়িত্ব রক্ষা করা সরকারের কর্তব্য। অবৈধ হলেও বর্তমান সরকার যেহেতু ক্ষমতায় আছে, এই দায় সরকারকেই নিতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, ঢাকা বিভাগ বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সাত্তার, রূপগঞ্জের বিএনপির নেতা মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন, মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু, গোলাম ফারুক খোকন প্রমুখ।