অমানবিক লকডাউনে দিন আনে দিনে খায় মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে - মঞ্জু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০২ এএম, ১০ জুলাই,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:১৪ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২৪
দরিদ্র মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত না করেই দেশব্যাপী ‘কঠোর লকডাউন’ চাপিয়ে দেয়ার সরকারের হঠকারি সিদ্ধান্তে বিশেষ করে দিন আনে দিন খায়-এ শ্রেণির মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। নগদ অর্থ সহযোগিতা কিংবা খাদ্য সহায়তা ছাড়া অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কোটি কোটি দরিদ্র মানুষকে ঘরে আটকে রাখা রীতিমতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। খাদ্যের ব্যবস্থা না করে লকডাউনে মানুষকে ঘরে বন্দী থাকতে বাধ্য করার মধ্য দিয়ে বর্তমান ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার বৈশ্বিক করোনা মহামারীর সাথে এদেশের মানুষের ঘাড়ে অব্যবস্থাপনাজনিত মহামারী চাপিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
আজ শুক্রবার খুলনা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নগরীর টুটপাড়া কবরস্থান রোড, বসুপাড়া কবরস্থান রোড ও দেবেন বাবু রোডের সাড়ে তিন শতাধিক নিরন্ন, ক্ষুধাত মানুষের মাঝে রান্না খাবার বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, লকডাউন বর্তমানে অকার্যকর নিষ্ঠুর রসিকতায় পরিণত হয়েছে। মহামারী ব্যবস্থাপনায় সরকারের উদাসীনতা ও বিজ্ঞানমনস্ক নীতি প্রণয়নে চরম ব্যর্থতার ফলে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় উপনীত হয়েছে। একদিকে অক্সিজেনের অভাবে করোনা রোগীর অকাল মৃত্যু, আইসিউ সুবিধার অভাব। হাসপাতালের চিকিৎসার জন্য ন্যুনতম শয্যা পাচ্ছে না এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও ওষুধের অভাবে জনগণের মধ্যে রীতিমত আতংকের সৃষ্টি করেছে।
সাবেক সাংসদ মঞ্জু আরও বলেন, সরকারের অপরিকল্পিত ও অমানবিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত এদেশের কোটি কোটি দিন আনে দিনে খায় মানুষের সকলের জীবনই স্থবির করে ফেলেছে। অতীতে যত লকডাউন হয়েছে তাতে দেখা গেছে দিন আনে দিন খায় মানুষ সবচেয়ে বেশি কষ্ট করে। তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় ক্ষুধার তাড়নায় এসব মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য নগদ অর্থ/ন্যুনতম খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত না করেই কঠোর লকডাউন আরোপের সিদ্ধান্ত কোনোক্রমেই যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নয় এবং এটা ফলপ্রসূও হবে না। তিনি ঐক্যবদ্ধভাবে এ মহাসঙ্কট মোকাবেলার এগিয়ে আসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জাফর উল্লাহ খান সাচ্চু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, ইকবাল হোসেন খোকন, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, একরামুল কবির মিল্টন, হাসানুর রশিদ মিরাজ, হাফিজুর রহমান মনি, আনিসুর রহমান আরজু, আব্দুল আলিম, রবিউল ইসলাম রবি, ওহাব শরীফ, আবু বক্কর, শামীম আশরাফ, মিন্টু পাটোয়ারি, ইকবাল হোসেন, শরিফুল ইসলাম সাগর, ইমতিয়াজ আলম, শফি মাস্টার, হেদায়েত হোসেন হিদু, আবু তালেব, সাজ্জাত হোসেন জিতু, ওলিয়ার রহমান, ফিরোজ আলম, আল মামুন, দিহান ইসলাম, তুহিন ইসলাম, সেলিম বড়মিয়া, মেজবাউল আলম পিন্টু, নাজমুল হক, ফারুক হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।