মির্জা আবদুল হালিমের মৃত্যুতে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিব-এর শোকবার্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪২ পিএম, ৯ জুলাই,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:১২ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বিএনপি'র সাবেক যুগ্ম মহাসচিব, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক মির্জা আবদুল হালিম (৯৩) আজ শুক্রবার সকালে বার্ধক্যজনিত কারণে পাবনার নিজ গ্রামের বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান।
আজ শুক্রবার (৯ জুলাই) এক শোকবার্তায় বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, "শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী দর্শণের বলিষ্ঠ অনুসারী মরহুম মির্জা আবদুল হালিম একজন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ হিসেবে অত্যন্ত সুপরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত উদার, সজ্জন ও বিনয়ী স্বভাবের মানুষ। জনকল্যাণের মহান ব্রত নিয়ে রাজনীতি করতেন বলেই তিনি এলাকাবাসীর নিকট ছিলেন পরম আপনজন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনি এলাকার উন্নয়নে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এদেশে জাতীয়তাবাদী প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মির্জা আব্দুল হালিমের নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন একজন সৎ, কর্তব্যপরায়ণ এবং আদর্শনিষ্ঠ ব্যক্তি। বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও জনপ্রিয় ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবেও তাঁর সুখ্যাতি ছিল। সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শণকে বুকে ধারণ করে তিনি স্বদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অঙ্গীকারে বিএনপিকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। শহীদ জিয়াউর রহমানের মন্ত্রীসভার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দেশের উন্নয়নে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচারের কবল থেকে দেশকে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণে তাঁর গৌরবময় অবদান দেশবাসী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। তাঁর ইন্তেকালে আমি গভীরভাবে শোকাহত হয়েছি। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী, সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।"
অপরদিকে পৃথক এক শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি'র সাবেক যুগ্ম মহাসচিব, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা আবদুল হালিম এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, "বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী রাজনীতির এক অনন্য নাম মির্জা আব্দুল হালিম। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ট সহকর্মী মির্জা আব্দুল হালিম যিনি তৎকালীন পাবনা-সদর আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। শহীদ জিয়াউর রহমানের মন্ত্রীসভাতে তিনি নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সফলভাবে পালনের মাধ্যমে দেশগঠনে শহীদ জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করেছিলেন। এছাড়া বিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান মির্জা আবদুল হালিম পাবনা-সদর আসনের সংসদ সদস্য হিসেবেও এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখেন। পাবনা জেলা থেকে প্রথম মন্ত্রী হিসেবে তিনি শহীদ জিয়ার বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, ১৯ দফা কর্মসূচি ও উন্নয়ন-উৎপাদনের রাজনীতিকে পাবনা তথা এতদাঞ্চলে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। সদালাপী ও পরোপকারী হিসেবে সুনাম ছিলো তাঁর। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন বলেই বিএনপি'র রাজনীতিতে যোগ দিয়ে তাঁর নিজ এলাকায় দলকে শক্তিশালী করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হিসেবে তিনি সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির উর্দ্ধে থেকে রাজনীতি ও সমাজসেবা করার জন্যই নিজ এলাকাবাসীর নিকট চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। দেশের একজন বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও দক্ষ ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে তিনি সুনাম অর্জন করেছিলেন। রাষ্ট্রপতি জিয়ার শাহাদাতের পর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ও সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। দেশের বিভিন্ন ক্রান্তিকালেও তিনি দলের নীতি, আদর্শ ও কর্মসূচি পালন থেকে ন্যুনতম বিচ্যুৎ হননি। আমি তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকবিহব্বল পরিবারের সদস্যবর্গ, আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।"