জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এর ভার্চুয়াল বিজ্ঞানমেলার সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৯ এএম, ১ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২০ | আপডেট: ০৮:১৬ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
করোনকালীন সময়ে বিশ্ব এখন এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন। সারা বিশ্বের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ। শিক্ষার্থীগণ যখন এক অসহণীয় যন্ত্রনায় আবর্তিত ঠিক তখনই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে থেকে বিজ্ঞান প্রতিভা তুলে আনতে ও তাদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক চেতনা গড়ে তুলতে একটি ভার্চুয়াল বিজ্ঞানমেলা আয়োজন করেছে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন।
আজ সোমবার (৩০ নভেম্বর) জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এর ভার্চুয়াল বিজ্ঞানমেলার সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এর প্রেসিডেন্ট দেশ নায়ক জনাব তারেক রহমান, তার সহ-ধর্মিনী ডা জুবাইদা রহমান এবং জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক ডাঃ ফরহাদ হালিম ডোনার সহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, শিক্ষা মানব জীবনের এক অমূল্য সম্পদ। মানুষের জ্ঞান ও চিত্তের উৎকর্ষের জন্য, মানব সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিকাশের জন্য, চরিত্র গঠন ও মানবীয় মূল্যবোধের জন্য, সর্বোপরি মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য শিক্ষা হচ্ছে প্রধান নিয়ামক। বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়নে শহীদ জিয়া অবিস্মরণীয় অবদান রেখে গেছেন। বাংলাদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রাতিষ্ঠানিক অগ্রযাত্রা শুরুই হয় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামলে। শহীদ জিয়া শুধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির স্বপ্নই দেখেননি, তিনি তাঁর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়ে গেছেন। এ কারণেই তিনি ১৯৭৬ সালে ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা পরিষদ’ গঠন করেন। ১৯৭৮ সালের ১৯ মার্চ তারিখে দেশে প্রথমবারের মতো উদযাপিত হয় জাতীয় বিজ্ঞানমেলা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিশিক্ষা এবং এর প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রায়োগিক ব্যবহারে আজ বাংলাদেশের যে অবস্থান তা শহীদ জিয়ার হাতে গড়া এবং তাঁর দেখানো পথেই অর্জিত হয়েছে। দেশের যে কোন দূর্যোগে যে বিএনপি জনগণের পাশে থাকে করোনাকালীন সময়ে তা আরো একবার প্রমাণ করেছে।
দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য শিক্ষকগণ এ বিজ্ঞানমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের প্রজেক্টগুলো বিচারের দায়িত্ব পালন করেন।প্রতিযোগীতায় বিভিন্ন শাখায় মোট ৬১ টি প্রকল্প পাওয়া যায়। দুই বিভাগ থেকে বিজয়ী ৪ জন কে পুরস্কৃত করা হয়।
তারেক রহমানের সহ-ধর্মীনি জুবাইদা রহমান বলেন, এই বয়সে তারা যা করেছ তা দেখে সকলে অভিভুত। ভবিষ্যতে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় দেশের হয়ে তাঁরা দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। আর এ অগ্রযাত্রায় সবসময় পাশে থাকবে বিএনপি ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন।
তারেক রহমান বলেন, সারাবিশ্বের বিজ্ঞানীরা আজ করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণায় ব্যস্ত। ভবিষ্যতে যে এর চেয়েও ভয়াবহ মহামারী আসবে না তার নিশ্চয়তা নেই। তাই জাতি হিসেবে আমাদের হতে হবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি সর্বোচ্চ অনুরাগী। এ প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী প্রভিতাবান শিশু-কিশোর ও তরুনরা তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে পারলে ভবিষ্যতে যে কোন বৈশ্বিক বৈজ্ঞানিক সমস্যার সমাধানে তাঁরাই বিশ্বকে সঠিক পথ দেখাতে পারবে।