বিএনপি নির্বাচনে না থাকলে গণতন্ত্র কীভাবে অর্থবহ হবে- প্রশ্ন কাদেরের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৫ এএম, ৩০ জুন,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৩৫ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মুখে রাষ্ট্রকাঠামো কিংবা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কথা বললেও নিজেরাই নির্বাচন থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। বিএনপি যদি নির্বাচনে না থাকে তাহলে গণতন্ত্র কীভাবে অর্থবহ হবে? উল্টো তারা গণতন্ত্রকে দুর্বল করতে নানামুখি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
আজ মঙ্গলবার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নিজেদের ব্যর্থতা এবং জনবিচ্ছিন্নতা আড়াল করতে নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির রাজনীতি কথামালার আড়ালে বৈপরীত্যের প্রদর্শনী মাত্র। ‘আওয়ামী একচ্ছত্র শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তন করে দিচ্ছে’, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা একেবারেই কল্পিত, মনগড়া ও মুখরোচক, এর সাথে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই। বিএনপির প্রতিদিন সরকারের বিরুদ্ধে কিছু না কিছু বলতেই হবেÑ এটি সেই ধারাবাহিকতারই অংশ। রাষ্ট্র এবং সরকার চলে সুনির্দিষ্ট সাংবিধানিক কাঠামো ও বিধিবিধানের আওতায়। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় বিরোধী দল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন।
তিনি বলেন, শক্তিশালী রাষ্ট্রকাঠামোর প্রতি বিএনপির কমিটমেন্ট থাকলে তারা সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করতে গিয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধাচরণ করতো না। একদিকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট এবং দেশ-বিদেশে রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার অব্যাহত রাখা, অন্যদিকে রাষ্ট্র কাঠামোর শক্তিশালীকরণের কথা বলা বিএনপির দ্বিচারিতা ছাড়া কিছু নয়। এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
এ সময় তিনি বলেন, বর্ষা চলমান তাই অত্যন্ত সচেতনভাবে সড়ক-মহাসড়কে মনিটরিং জোরদার করতে হবে। সড়কের যেখানে ছোটখাটো গর্ত হবে সেখানে সাথে সাথে মেরামত করতে হবে, পাশাপাশি নতুন পাস হওয়া প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের দাপ্তরিক পরিকল্পনা ও প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো এ সময়ে এগিয়ে নিতে হবে। লকডাউন যদি শিথিল হয় এবং দূরপাল্লার বাস যদি চলে তাহলে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুবাহী যানবাহন চলাচলের জন্য সকল প্রস্তুতি নিয়ে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী। সড়ক পরিবহন মন্ত্রী আবারও বিআরটিসিকে লাভের ধারায় ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, গাড়িগুলো যেন সবদিক থেকে স্মার্ট থাকে সেদিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিজ নিজ কাজে অধিকতর গুরুত্ব ও দায়িত্বশীল হতে হবে। শুদ্ধাচার পুরস্কার বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নিজের কাজকে ভালোবেসেই কাজ করতে হবে। সবাইকে রুটিনওয়ার্ক নয়, কাজকে ভালোবেসে কাজে মনোযোগী হওয়ার তাগিদ দেন মন্ত্রী।