দেশের সচিব, পুলিশরা সরকারের পার্লামেন্টের ভাগ্যের বিধাতা - গয়েশ্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৯ এএম, ৩০ জুন,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১১:২৭ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজের ঘরে যে ‘গুনগুন আওয়াজ’ শুরু হয়েছে, তা জনগণের কানে পৌঁছে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদে’র উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার নিশ্চিতকরণ ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে এক প্রতিবাদী আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর বলেন, দেশে রাজনীতি নাই। সরকারের বৃহস্পতি তুঙ্গে। একটা গান আছে সিনেমারÑ বৃহস্পতি এখন আমার তুঙ্গে চন্দ্রে সে ভর করেছে ভালবাসা হবে। এটা শেখ হাসিনার ভালবাসা। সেই ভালবাসায় তিনি দোজকে যাবেন না বেহেস্তে যাবেন সেই সময়টা ঘনিয়ে আসছে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি শেখ হাসিনা মানুষের কথা তোয়াক্কা না করতে পারেন, সংবাদপত্রকে ধমক দিয়ে থামিয়ে রাখতে পারেন, কিন্তু আপনার নিজের ঘরে যে গুনগুন আওয়াজ শুরু হয়েছে এই আওয়াজ তো জনগণের কানে পৌঁছেছে। সরকারদলীয় মন্ত্রী-এমপির কারও কথার সাথে কারও কথার মিল নেইÑ এমন মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, এখন একেকজন একেক রকম কথা বলে। একজনের কথার সাথে আরেকজনের কথার কোনো মিল নেই। কারণ এই সরকার তো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। শেখ হাসিনা তো গণতন্ত্র চিনেনই না। তাকে তো গণতন্ত্রের ছবক দিয়ে লাভ নেই।
বিএনপির এই নীতি-নির্ধারক বলেন, ‘দেশের সচিবরা, দেশের পুলিশরা আজকের সরকারের পার্লামেন্টের ভাগ্যের বিধাতা। তারা পাপ করছে, তাদের পাপের ফসল আজকের পার্লামেন্ট। দিনের ভোট রাতে হয়েছে। এগুলো কারা করেছে? আজকের সংসদকে কী বলবো আমরা? যে পুলিশ রাতের বেলায় চোর ধরে তারাও কিন্তু ভোট চুরি করেছে। সে জন্য আজকে পুলিশের অবস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। নৈতিকতার দিক দিয়ে পুলিশের কোন অবস্থান কি এখন আছে? এখন প্রশাসন বলেন, সরকার বলেন, শেখ হাসিনা বলেনÑ এরা সবাই কিন্তু পরস্পর পরস্পরের দ্বারা ‘ব্ল্যাক পেইড’। কারণ শেখ হাসিনাও চাকরির ভয় দেখিয়ে রাতের বেলায় তাদের দিয়ে আকাম করিয়েছেন। এখন সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা পুলিশের কনস্টেবলও এমপিদের সালাম দেয় না।
তিনি বলেন, আমাদের লড়াই তো বন্ধ হয় নাই। লড়াই তো চলছে। সেখানে আমাদের নিজেদের ব্যর্থ ভাবার কোনো অবকাশ নেই। কোনো লড়াইয়ের ফলাফল স্বল্প সময়ে পাওয়া যায়, কোনোটা দীর্ঘস্থায়ী হয়। বেগম খালেদা জিয়াকে কোন আইনের বলে জামিন দেয়া হলো নাÑ প্রধান বিচারপতির কাছে এ প্রশ্ন রেখে বিএনপির এই নেতা বলেন, ফাঁসির আসামিকে জামিন দেয়ার নজির রয়েছে। আদালতের কাজ কাউকে খুশি বা অখুশি করা নয়। আমরা আপনাদের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি নয়, সরকারের পতন ঘটাতে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান গয়েশ্বর রায়।
গয়েশ্বর আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি ১৯৭১ সালে ভারত আমাদের সহযোগিতা করেছে। কিন্তু ভারত মনে করে তারা ইনভেস্ট করেছে। আজ দুটি শক্তি একটা পশ্চিমে একটা পূর্বে, একটা চীন আরেকটা ভারত। দুটো শক্তির উদ্দেশ্য কী? চীন চায় বাংলাদেশে বাণিজ্য করতে। আর ভারত রাজত্বও করতে চায় বাণিজ্যও করতে চায়। এর মাঝখানে আমরা আছি।’
প্রতিবাদী আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।