চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ১৬ জুন,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৪২ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বারবার সংঘর্ষের লিপ্ত হওয়ার কারণে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কার্যক্রম কেন্দ্র থেকে স্থগিত করা হলেও থামছে না তাদের আধিপত্য বিস্তারের মহড়া। ক্যাম্পাসে নিজের শক্তি প্রদর্শন দেখাতে গিয়ে বহিরাগতসহ বারবার জড়াচ্ছে সংঘর্ষে। এরকমই ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সাধারণ চার শিক্ষার্থীসহ মোট ১০জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে দিকে চকবাজার থানার কেয়ারি শপিং মলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।ঘটনায় পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে বলেও জানা গেছে। তবে চকবাজার থানার ওসি আলমগীর ফোন ধরায় পুলিশের ব্ক্তব্য জানা যায়নি। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আহত ৭ জনের মধ্যে তিন ছাত্রলীগ কর্মীকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেনÍ ইংরেজী বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল সাইমুন (২৩), ডিগ্রী ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল মালেক রুমি(২১) গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবু তোরাব(২২)। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন সাধারণ চার শিক্ষার্থী।
তারা হলেন, গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাফায়েত হোসেন রাজু, ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সিরাজ, একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফয়সাল, বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শিমু।
আহত ৩ জন চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমের অনুসারী। মাহমুদুল করিমের দাবিÍ চকবাজারের বির্তকিত যুবলীগ নেতা নুর মোস্তাফা টিনুর অনুসারী ও কলেজ ছাত্রলীগের সেক্রেটারি সুভাষ মল্লিক বহিরাগতদের নিয়ে আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন।অন্যদিকে সুভাষ মল্লিকের দাবিÍ মাহমুদের কর্মীরা বন্ধ ক্যাম্পাসে অবস্থান করে মাদক সেবন করতে গেলে তার প্রতিবাদ করায় এ সংঘর্ষ।
অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্র অর্নব বলেন, ‘চকবাজার এলাকার নেতা নূর মোস্তফা টিনু ও কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজের ইন্দনে বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা করে। এঘটনায় ৪জন সাধারণ শিক্ষার্থীও আহত হয়।চমেক পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া বলেন, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজনকে হাসপাতালে ২৫ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, মাহমুদুল করিম যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী আর সুভাষ মল্লিক সবুজ নূর মোস্তফা টিনুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।