বাজেটে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য কেনো প্রণোদনা নেই - নজরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০৯ এএম, ৭ জুন,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৪৬ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বাজেটে ‘করপোরেট কর’ কমানোর প্রস্তাব থাকলেও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য কোনো প্রণোদনা নেই তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
আজ রবিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এই প্রশ্ন তোলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, যেসব কোম্পানি মুনাফা করে তার মধ্যে যারা এগিয়ে আছে, বেশি মুনাফা করে এরকম ২০টা কোম্পানি এই সরকার বাজেটে যে প্রস্তাব করেছে- করপোরেট কর কমানোর। সেটাতে এই ২০টি কোম্পানি ১৪৬ কোটি টাকা বেনিফিট পাবে। এই সরকার জনপ্রিয় সরকার নয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ তাদের কাজ থেকে কোনো উপকার পাচ্ছে না। মাত্র ২০টা প্রতিষ্ঠান যেখান ১৪৬ কোটি টাকা কর সুবিধা পায় সেখানে লাখ লাখ, কোটি কোটি গরিব মানুষের জন্য বাজেটে কোনো বরাদ্দ থাকে না কেন? কেন তাদের জন্য কোনো প্রণোদনা দিলেন না আপনি? দরিদ্র মানুষের অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের গরিব মানুষরা আরো গরিব হয়ে গেছে। নতুন করে আরো আড়াই কোটি লোক বেকার হয়ে গেছে। লাখ লাখ মানুষ, কোটি কোটি মানুষ এই কোবিডের কারণে বেকার হয়ে গেছে, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের অসংখ্য শিল্প-কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, আমাদের হকারদের কাজ বন্ধ, আমাদের পরিবহন শ্রমিকদের কাজ বন্ধ, রিকশাওয়ালা শ্রমিকদের কাজ বন্ধ, আমাদের ঘাটের শ্রমিকদের কাজ বন্ধ- তাদের জন্য কোনো প্রণোদনার প্যাকেজ দিলেন না সরকার।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা বলতে চাই, যেসব শ্রমজীবী মানুষ কোবিডের কারণে বেকার হয়ে গেছে তাদের জন্য যেন প্রতি মাসে একটা ভাতা দেয়া হয়। কারণ তাদের বাঁচতে হবে এবং ন্যায্য মূল্যে বা রেশনে যেন তাদের খাবার সরবরাহ করা হয়। বেকার ভাতা চালু করার এখনই সময়। কারণ দেশে লাখ লাখ শিক্ষিত এবং অশিক্ষিত বেকার। তাদের সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে দিতে হবে।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবন-কর্ম থেকে দলের নেতাকর্মীদের শিক্ষা গ্রহণ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান নজরুল ইসলাম খান।
বিএনপি গণতন্ত্র হত্যাকারী- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম বলেন, গণতন্ত্র তারাই (আওয়ামী লীগ) হত্যা করেছে। আর ‘জরুরি অবস্থা’ যেটা গণতন্ত্রকে মারাত্মকভাবে আহত করে, সেটাও তারাই করেছে।
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কার্যনির্বাহী সভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শ্রমবিষয়ক সহ-সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, শ্রমিক দলের মেহেদি আলী খান, আবুল খায়ের খাজা, আবুল কালাম আজাদ, নুরুল্লাহ বাহার, মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, মিয়া মো. মিজান, খোন্দকার আবদুল মতিন, কাজী আমীর খসরু প্রমুখ।