ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার হাতিয়ার ‘সাম্প্রদায়িকতা’র ব্যবহার-মান্না
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৫ এএম, ২৪ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২০ | আপডেট: ০২:৪৭ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
গত ১২ বছরে দেশে সবচেয়ে বেশি হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি দখল হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ধর্ম মানুষকে সাম্প্রদায়িকতা শেখায় না। তারপরও সাম্প্রদায়িকতার বিষয়টি আসে। আমাদের দেশের ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতায় থাকার হাতিয়ার হিসেবে সাম্প্রদায়িকতাকে ব্যবহার করে।
আজ সোমবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে “সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় আমাদের করণীয়” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, আমি আওয়ামী লীগের সাথে অনেক বছর কাজ করেছি। আওয়ামী লীগের লোকজনের সাথে আমার যোগাযোগ রয়েছে। যারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তাদের সাথে আমার কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে, অর্থাৎ গত ১২ বছরে সবচেয়ে বেশি হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি দখল হয়েছে। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি হিন্দু মেয়েদের সতীত্বের ওপর আঘাত করা হয়েছে। এই আঘাত কারা করেছে? যে দলের মধ্যে পাপিয়া, জি কে শামীম , সাবরিনা ও শাহেদ রয়েছে সে দলের পক্ষে সবকিছুই করা সম্ভব।
তিনি বলেন, আজকের এই জনপদ হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। অথচ এই দেশে বৌদ্ধ মন্দির ভাঙা হয়েছে। হিন্দুর প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে। এই উপমহাদেশে বিশাল আকারের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাও হয়েছে। খুশবায়ান সিং একটি বই লিখেছেন ‘ট্রেন টু পাকিস্তান’। ভারত বিভক্তির আগে ট্রেন ভর্তি লাশ পাওয়া গিয়েছিল। আসলে ক্ষমতাসীনরা এমনটাই করে।
সরকারের সমালোচনা করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার সংখ্যালঘুদের অস্তিত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। তাই পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ হয়েছিল। ভারতের সাথে এমন ভালো সম্পর্ক, তবুও ওখানে বিক্ষোভ হয়েছে। তাহলে তারা (সরকার) কী করে? তারাই (সরকার) এই সংবাদ বাংলাদেশের কোনও মিডিয়ায় প্রকাশ করতে দেয়নি।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফীর সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সুকমল বড়–য়া প্রমুখ।