নালিতাবাড়ীতে মতিয়া চৌধুরী বিরোধী মোর্চার কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় গতকাল রবিবার (৩০ মে) বিকেলে পৌর শহরের গড়কান্দা মহল্লার একটি ধানের মিল চত্বরে মতিয়া চৌধুরী বিরোধী দুই নেতা এক হয়ে কর্মী সভা করেছেন। 

এই মোর্চার নেতৃত্বে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোকসেদুর রহমান লেবু। দুজনই এক সময় স্থানীয় এমপি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরির আস্থা ভাজন ছিলেন। 

পরে স্থানীয় রাজনীতিতে মনোনয়নসহ নানা ইস্যুতে মতিয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে তারা অবস্থান নেন। তবে দুজন মতিয়া চৌধুরী বিরোধী হলেও স্থানীয় রাজনীতিতে দুজনের সম্পর্ক ছিল অনেকটা সাপে নেউলে। দীর্ঘ দিন পরে নিজেদের বঞ্চিত দাবী করে ভেদাভেদ ভুলে এক মঞ্চে এক ইস্যুতে নিজেদের এই এলাকার ভূমি পুত্র দাবী করে সমাবেশ করেছেন। 

দীর্ঘ দিন মুখ দেখাদেখি না হলেও হঠাৎ এই দুই নেতা মোর্চা করে প্রকাশ্যে আসার বিষয়টি নালিতাবাড়ীতে টক অফ দা টাউনে পরিনত হয়। এ সময় সমাবেশে কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আব্দুল মোতালেবের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোকসেদুর রহমান লেবু। এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন, নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ালীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আকতারুজ্জামান, সাবেক আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোক্তার হোসা্ইন, উপজেলা বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদের সভাপতি সাবেক জিএস ও সাবেক উপজেলা ক্রীড়া সম্পাদক আসাদুজ্জামান সোহেল, যোগানীয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আনসার আলী, উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ন সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক আনিসুর রহমান আনারুল, জেলা ছাত্রলীগের সাহিত্য সম্পাদক হারুনুর রশিদ, উপ মানব সম্পদ সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ বাদশা প্রমুখ। 

সভা পরিচালনা করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক আবু ইলিয়াস সাদ্দাম ও উপজেলা শ্রমিকলীগের সহ সভাপতি আঃ হান্নান তুলা।

সমাবেশে স্থানীয় এমপির (মতিয়া চৌধুরি) বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বক্তারা বলেন- ১৯৯১ সন থেকে নেত্রী ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে কমিটি বের করে ঘোষণা দিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। যাদের প্রতি মানুষ ও দলের নেতাকর্মীদের কোন আস্থা ও যোগাযোগ নেই। 

এখানে কোন ভ্যানেটি ব্যাগ কমিটি চলবে না। ভাড়াটিয়া অনুপ্রবেশ কারি চলবে না। দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক ধারার নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে এই বাদশা-লেবু মোর্চা এখন থেকে মাঠে সক্রিয় থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়।