কোভিড পরবর্তী জটিলতায় ভুগছেন বেগম খালেদা জিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৭ এএম, ৩১ মে,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:২৬ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া পুরনো রোগ আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিসের পাশাপাশি পোস্ট কোভিডসহ এখন হার্ট ও কিডনি জটিলতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হার্ট ও কিডনি জটিলতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আবারও জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন কিন্তু জ্বর এখন নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু পোস্ট কোভিড এবং হার্ট ও কিডনি জটিলতায় ভুগছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসকরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আগেই বলেছিলাম বেগম খালেদা জিয়া জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আমি চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই তাদের সুচিকিৎসার কারণে তাঁর জ্বর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তারা আশাবাদী হয়ে উঠেছেন যে, এ জ্বর হয়তো আর আসবে না। তারা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমাদের দুঃখ হয়, যে নেত্রী আজীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। ১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনীর কারানির্যাতন ভোগ করেছেন, তাঁকে তাঁর চিকিৎসার জন্য আজকে সুযোগ দেয়া হয় না। বার বার করে বলা হয়েছে যে, তাঁর অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট দরকার। বার বার করে বলা হয়েছে তাঁকে নিঃসন্দেহে একটা অ্যাডভান্স হসপিটালে-সেন্টারে চিকিৎসা ব্যবস্থা করার জন্য। কিন্তু সরকার তাদের প্রতিহিংসার কারণে তাঁকে সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে।
গত ১০ এপ্রিল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তখন তিনি গুলশানের বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। চিকিৎসকরা প্রথম দিকে বলেছিলেন, করোনার কোনো উপসর্গ তাঁর মধ্যে নেই। ২৭ এপ্রিল তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয় শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য। ওই দিনই তাঁকে ভর্তি করা হয়। ৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করায় তাঁকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে নেয়া হয়। এক মাসেরও বেশি সময় তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও সরকার তা নাকচ করে দেয়। ফলে এভারকেয়ার হাসপাতালেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।