‘মুক্ত পরিবেশে’ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবে বিএনপি-দুদু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৮ এএম, ২৩ নভেম্বর,সোমবার,২০২০ | আপডেট: ০৪:২৮ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
দেশকে বর্তমান স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের হাত থেকে মুক্ত করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি ‘মুক্ত পরিবেশে’ দেশে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষকদলের আহ্বয়ক শামসুজ্জামান দৃদু।
তিনি বলেছেন, এই বছর মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীর বছর। আর এই মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ সংগঠন হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। আল্লাহ চাইলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া শ্রেষ্ঠ সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ‘মুক্ত পরিবেশে’ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবে। এটা আমাদের প্রার্থনা, এটা আমাদের আশা।
আজ রবিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিচতলায় জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৬তম জন্মদিন উপলক্ষে দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান সংকট হচ্ছে স্বৈরতন্ত্রের সঙ্গে গণতন্ত্রের লড়াই। বাংলাদেশের বর্তমান সংকট হচ্ছে মানুষের অধিকার না থাকা। বাংলাদেশের বর্তমান সংকট হচ্ছে সংবিধানকে অবজ্ঞা করা। এই সরকার সংবিধানকে ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধের মধ্যে রাখে না।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, তারেক রহমান এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। তাকে ঠেকানোর জন্য আদালতকে ব্যবহার করা হয়েছে, পুলিশকে ব্যবহার করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে এই সরকার ভীত-সন্ত্রস্ত। মানুষের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক যে অধিকার থাকে সেটি থেকে তারেক রহমানকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
দুদু বলেন, বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, যিনি স্বাধীনতার ঘোষক। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে আওয়ামী লীগ অপপ্রচার করছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারান্তরীণ এবং সাজা দেয়া হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই, ঘৃণা প্রকাশ করি।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে গত ৫০ বছরের মধ্যে সব থেকে কষ্টে আছে বাংলার কৃষক সমাজ। বাংলার কৃষক সমাজ তার উৎপাদিত দ্রব্যের ন্যায্যমূল্য পায় না। কৃষি উপকরণ কিনতে হয় বেশি দামে, অথচ তার উৎপাদিত দ্রব্য কোনও কোনও সময় তারা বিক্রিও করতে পারে না। সরকারের পক্ষ থেকে কোনরকম সহযোগিতা তাদেরকে দেয়া হয় না। প্রণোদনা দেয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের, প্রণোদনা দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের লোকদের, প্রণোদনা দেয়া হয়েছে বড়লোকদের, কিন্তু কৃষকদেরকে কোনও প্রণোদনা দেয়া হয়েছে- এটা আমরা শুনতে পাইনি। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে দেশের কৃষকরা যত ত্যাগ স্বীকার করেছে অন্য কোনও শ্রেণি-পেশার মানুষ এটা করে নাই।
কৃষক দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এসকে সাদির সঞ্চালনায় শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী বক্তব্য দেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, আলিম হোসেন, লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, মীর মমিনুর রহমান সুজন, এম জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুর রাজি, শফিকুল ইসলাম শফিক, কৃষক দল নেতা আব্দুল্লাহ আল নাইম প্রমুখ।