সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির বিশেষ সভায় হইচই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৫ পিএম, ৫ মে,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:২২ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে শূন্যপদ পূরণে করণীয় নির্ধারণে গতকাল মঙ্গলবার আয়োজিত বিশেষ সাধারণ সভায় দুই পক্ষের মধ্যে হইচই ও বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে।
সভার পর সমিতির সহসভাপতি মুহাম্মদ শফিক উল্যা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, সদস্যরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ এম আমিন উদ্দিনকে সভাপতি পদে নির্বাচিত করেছেন। তবে পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বিশেষ সাধারণ সভা মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ এম আমিন উদ্দিন সমিতির গত মেয়াদে সভাপতি ছিলেন। তিনি এখন অ্যাটর্নি জেনারেল।
গতকাল মঙ্গলবার (৪ মে) বেলা দুইটার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে ওই সভা শুরু হয়। সভায় উপস্থিত থাকা একাধিক আইনজীবী জানান, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস সভা পরিচালনা করার কথা বলেন। তখন সহসভাপতি মুহাম্মদ শফিক উল্যা বলেন, সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই সভায় তাঁর সভাপতিত্ব করার কথা।
তখন সমিতির সম্পাদক বলেন, তাঁর (শফিক উল্যা) সভাপতিত্ব করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। এ ছাড়া সিনিয়র আরেকজন সহসভাপতি আছেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি পদ দুটি। একটি পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ–সমর্থিত ‘সাদা প্যানেল’–এর শফিক উল্যা। অন্যটিতে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি–সমর্থিত নীল প্যানেলের মো. জালাল উদ্দিন।
গত মার্চে অনুষ্ঠিত সমিতির নির্বাচনে কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪টি পদের মধ্যে সভাপতিসহ আটটি পদে জয় পান সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা। আর সম্পাদকসহ বাকি ছয়টি পদ পেয়েছে নীল প্যানেল।
সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ১৪ এপ্রিল সাংসদ আবদুল মতিন খসরু ইন্তেকাল করেন।
আইনজীবী সূত্র জানায়, মঙ্গলবারের সভায় শফিক উল্যা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে এ এম আমিন উদ্দিনের নাম প্রস্তাব করেন। তখন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা করতালির মাধ্যমে তাঁকে সমর্থন দেন। এর বিরোধিতা করতে থাকেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
এ নিয়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হইচই ও হট্টগোল চলে। একপর্যায়ে বিশেষ সাধারণ সভা মুলতবি ঘোষণা করেন সমিতির সম্পাদক।
আইনজীবীরা জানান, সমিতির গঠনতন্ত্রের ১৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে, মৃত্যু, অপসারণ ও পদত্যাগের কারণে কোনো পদ শূন্য হলে সাধারণ সভার মাধ্যমে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।