ধামরাইয়ে ঘরে ঢুকে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা জনতার হাতে আটক চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যসহ ২ জনকে পুলিশে সোপর্দ

ঢাকার ধামরাইয়ে নিজ শয়নকক্ষে ঢুকে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা ঘটনায় চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যসহ আটক ওই ২ ধর্ষণের চেষ্টাকারিকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তার আগে ওই ২জনকে উপর্যুপরি গণধোলাই দিয়ে এবং নাকে মুখে চুনকালি ও গলায় জুতার মালা পড়িয়ে এলাকায় ঘুরানো হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।

ওই দু ধর্ষণের চেষ্টাকারীর নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (গ) ধারা মোতাবেক ধামরাই থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। তাদেরকে ব্যাপক পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৫দিনের রিমান্ড আবেদন করে ওই দু ধর্ষণের চেষ্টাকারীকে পুলিশ

আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকাস্থা ধামরাই বিশেষ আদালতে প্রেরণ করেছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চৌহাট ইউনিয়ন সদরে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত অনুমান ১১টার দিকে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সূত্রাপুর গ্রামের বাসিন্দা আউলাদ হোসেনের ছেলে চাকরিচ্যুত সেনা সদস্য  মোঃ সোহেল হোসেন (৩০) ও তার সহযোগী একই গ্রামের মোঃ রোস্তম আলীর ছেলে মোঃ আলমগীর হোসেন (২৭) পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে চৌহাট ইউনিয়ন সদরের মোঃ রূপচাঁনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বাড়ির মালিক রূপচাঁন বাড়ি না থাকার সুযোগে ওই কলেজছাত্রীকে একা পেয়ে রূপচানের মেয়ে ধামরাই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্রীকে (রোকেয়া আক্তার) ওই দুই বন্ধু মিলে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে ওই কলেজছাত্রীর পরিধেয় জামাকাপড় টেনে হেঁচড়ে ছিড়ে ফেলে ওই দুই ধর্ষণের চেষ্টাকারী। এসময় ওই কলেজছাত্রীর ডাক চিৎকারের আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ওই দুই ধর্ষণের চেষ্টাকারীর কবল থেকে ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধার ও তাদেরকে আটক করে। এরপর তাদেরকে উপর্যুপরি গণধোলাই দিয়ে চোখে মুখে চুনকালি মেখে ও ছেড়া জুতার মালা পড়িয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

এব্যাপারে ওই কলেজছাত্রী জানান, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে সোহেল হোসেন ও আলমগীর হোসেন বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের বাড়িতে আসে। বাড়ির লোকজন বাড়িতে না থাকার সুযোগে তারা আমাকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমার ডাক চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার ও ওই দুই ধর্ষণের চেষ্টাকারীকে আটক করে। এরপর তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করে। এব্যাপারে আমি বাদী হয়ে তাদের নামে ধামরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (গ) ধারা মোতাবেক মামলা দায়ের করেছি। আমি ওই ধর্ষণের চেষ্টাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

এব্যাপারে কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ রাসেল মোল্লা বলেন, ধর্ষণের চেষ্টা ঘটনায় জনতার হাতে আটক দুজনের নামে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদরকে রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।