ভ্যাকসিন সরবরাহে দেরির কারণ জানিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনের চিঠি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ২৫ এপ্রিল,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:২৯ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করলেও সহসা সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন পাচ্ছে না বাংলাদেশ। টিকা নিয়ে গতকাল শনিবার ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি দিয়েছে।
এতে সহসা টিকা পাওয়ার কোন আভাস দেয়া হয়নি। বরং এতে বলা হয়েছে, কাঁচামালের সংকট ও ভারতে বিপুল অভ্যন্তরীণ চাহিদার কারণে ভ্যাকসিন সরবরাহে দেরি হচ্ছে।
ভারত তার অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের চেষ্টা করছে। পাশাপাশি পুনের সেরাম ইনস্টিটিউটসহ অন্যান্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ভ্যাকসিন সরবরাহের যেসব চুক্তি করেছিল, সেই অনুযায়ী ভ্যাকসিন উৎপাদনের চেষ্টা চলছে।
ভ্যাকসিনের কাঁচামাল রপ্তানিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়েও ইঙ্গিত করা হয় চিঠিতে বলা হয়, প্রধান রপ্তানিকারক দেশগুলো কাঁচামাল আটকে দিয়েছে, এ বিষয়টিও সবার জানা। এতে বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরামের ওপর প্রভাব পড়েছে।
চিঠিতে ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিন’ যৌথ উৎপাদনের বিষয়ে বলা হয়, আইসিডিডিআর,বি এবং ভারত বায়োটেক ২০২০ সালের ডিসেম্বরে কোভ্যাক্সিনের চূড়ান্ত পর্যায়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য চুক্তি করেছিল। তবে, সেটা এখনও বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা কোভিশিল্ডের চেয়ে বেশি উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, ‘আমাদের বর্ধিত সক্ষমতা ও একাধিক প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশ যদি কোভ্যাক্সিন যৌথভাবে উৎপাদন শুরু করে তবে বাংলাদেশে তৈরি ভ্যাকসিন ভারতসহ বন্ধু রাষ্ট্রগুলোতে সরবরাহ করা হবে। ‘সেই সুযোগটি এখনও হারিয়ে যায়নি। আমরা এর সদ্ব্যবহার করতে পারি,’ যোগ করা হয়েছে চিঠিতে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সরকার, বেক্সিমকো ও সেরাম গত বছরের ১৩ই ডিসেম্বর একটি চুক্তি সই করে। চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, এ পর্যন্ত দুই কিস্তিতে মাত্র ৭০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে।
বেক্সিমকো ফার্মার এমডি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, সেরাম যে টিকার অগ্রিম অর্থ নিয়েছে সে টিকা পাঠাতে বাধ্য।