রাজধানীতে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৬ পিএম, ১৮ এপ্রিল,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:২৩ এএম, ১ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে মো. বাবলু (৩২) নামে যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে স্থানীয়রা।
গতকাল শনিবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ঘটনাটি ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসারা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন।
বাসায় যাওয়ার পরে অবস্থার অবনতি হলে পুনরায় রাত আড়াইটায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা মৃত আবুল হোসেনের ছেলে বাবলু। তিনভাই, দুইবোনের মধ্যে সে ছিল বড়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহতের ভগ্নিপতি শফিকুল ইসলাম জানান, বাবলু পেশায় স্টিলের আসবাবপত্র তৈরির কারিগর ছিল। তার একটি কারখানা ছিল। বছরখানেক আগে বাবা-মা মারা যাওয়া পর ও করোনার কারণে ব্যবসায় ক্ষতির কারণে কারখানটি ছেড়ে দিয়ে, ছুটা কাজ করতো। গতকাল শনিবার রাতে বাবলু ও তার বন্ধু ও সহকর্মী কামাল কাজলায় আমাদের বাসা থেকে রিকশা যোগে তার বাসায় যাচ্ছিল।
রিকশাটি যখন শহিদ ফারুক সড়কের মনা টাওয়ারের সামনে যায়, সেখানে এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা তাদের রিকশাকে গতিরোধ করে বাবলুকে ছুরিকাঘাত করে, এ সময় তার সাথে থাকা কামাল একজনকে জাপ্টে ধরে চিৎকার শুরু করলে, আশপাশের লোকজন এসে রতনসহ আরও একজনকে ধরে ফেললে বাকিরা পালিয়ে যায়।
আটকদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে আহত বাবলুকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
তিনি বলেন, বাবলু যখন কারখানা পরিচালনা করতো, সে সময় ওই সন্ত্রাসীরা প্রায়ই বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে চাঁদা নিতো। কিন্তু করোনার কারণে অনেকদিন ধরে সে চাঁদা দিতো না।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, স্থানীয় এসব চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী মাদক কারবারিদের নিয়ন্ত্রণ করতো ডিজিটাল আরিফ। ওই এলাকায় বাড়ি নির্মাণ, কোনো মালামাল ক্রয় বিক্রয় করতে গেলে তার বাহিনীকে চাঁদা দিতে হয়। শুধু তাই নয়, ইয়াবার বিক্রির কাজও করতো তারা।