বিজিএমইএ’র নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু, চলবে ৭টা পর্যন্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৭ পিএম, ৪ এপ্রিল,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৪৬ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
করোনার ঝুঁকির মধ্যে শুরু হয়েছে তৈরী পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র নির্বাচন।
আজ রবিবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় রাজধানীর হোটেল রেডিসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।
নির্বাচন বোর্ড সূত্র জানায়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সবাই মাস্ক পরে কেন্দ্রে আসছেন। প্রার্থীর সমর্থকদের অযথা জটলা না করারও অনুরোধ জানানো হয়েছে। করোনা প্রটোকল মেনে ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমোদন রয়েছে।
সাংবাদিকদের জন্য আলাদা বুথ স্থাপনের পাশাপাশি নির্বাচন বোর্ড প্রতি ঘণ্টায় আপডেট তথ্য দেবে।
২০২১-২৩ মেয়াদের এই নির্বাচনে নেতৃত্ব নির্বাচনে বরাবরের মতো এবারও দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে। প্যানেল দুটি হচ্ছে সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম।
সম্মিলিত পরিষদের দলনেতা বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি ফারুক হাসান বলেন, কয়েক দিন আগে আমরা যখন আমাদের ইশতেহার ঘোষণা করি, তখন কোভিড-১৯ সংকট মোকাবিলায় আমরা কী করব-তার একটা ঘোষণা দিয়েছিলাম। তার ধারাবাহিকতায় শুধু একটি কথাই এখন বলছি, আগামী দুইটা বছর আমি আমার জীবন পোশাক শিল্প মালিক ভাইদের জন্য উৎসর্গ করব।
বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি রুবানা হকের প্যানেল ‘ফোরামের’ নেতৃত্ব দিচ্ছেন হান্নান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম শামসুদ্দিন মিয়া। শামসুদ্দিন মিয়া বলেন, পোশাকশিল্পের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। তৈরি পোশাকের দাম কমছে, রপ্তানিও কমছে। দুর্বল চুক্তিপত্রের সুবিধা নিচ্ছেন বিদেশি ক্রেতারা। পোশাক রপ্তানির পর আবার অর্থ পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচনে বিজয়ী হলে করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি পোশাকশিল্পের ভাবমূর্তি উন্নয়ন, ব্যবসা পরিচালনার ব্যয়ভার কমানো ও বাজার সম্প্রসারণে সবচেয়ে বেশি জোর দেবে ফোরাম।
আট বছর পর প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই নির্বাচনে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৩৫ পরিচালক পদের জন্য দুই প্যানেলের ৭০ জন প্রার্থী একে অপরের বিরুদ্ধে লড়বেন। এবারের নির্বাচনে ভোট দেবেন ২ হাজার ৩১৩ জন তৈরি পোশাকশিল্প মালিক। তাদের মধ্যে ঢাকার ১ হাজার ৮৫২ ও চট্টগ্রামের ৪৬১ জন।
চূড়ান্ত তালিকায় ঢাকা অঞ্চলে ১ হাজার ৮৫৩ জন এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৪৬১ জন ভোটার রয়েছেন। গত আট বছরে ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচন হয়েছে।
সম্মিলিত পরিষদ
জায়ান্ট টেক্সটাইলের ফারুক হাসান এই প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অন্য প্রার্থীরা হলেন ঢাকা অঞ্চলে অ্যাডামস অ্যাপারেলসের শহিদুল হক মুকুল, ব্রাদার্স ফ্যাশন্সের আবদুল্লাহ হিল রাকিব, ক্লাসিক ফ্যাশনসের শহীদউল্লাহ আজিম, ক্রনি ফ্যাশনসের নীরা হোসনে আরা, ডেনিম এক্সপার্টের মহিউদ্দিন রুবেল, ডিজাইন অ্যান্ড সোর্সের জাহাঙ্গীর আলম, ডিজাইন টেক্সট নিটওয়্য্যারের খন্দকার রফিকুল ইসলাম, এনভয় ডিজাইনের শিরিন সালাম ঐশী, এনভয় ফ্যাশন্সের তানভীর আহমেদ, হামিদ সোয়েটারের ইন্তেখাবুল হামিদ অপু, জে এফ কে ফ্যাশন্সের কফিল উদ্দিন আহমেদ, লায়লা স্টাইলের ইমরানুর রহমান, মেইকস গার্মেন্টের আশিকুর রহমান তুহিন, মিসামি গার্মেন্টের মিরান আলী, নিপা ফ্যাশন্সের খসরু চৌধুরী, পশমী সোয়েটারের মশিউল আজম সজল, সাদমা ফ্যাশন্স ওয়্যারের নাছির উদ্দিন, সেহা ডিজাইনের এস এম মান্নান কচি, স্পারো অ্যাপারেলসের শোভন ইসলাম, তরকা ফ্যাশন্সের মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, টিআরজেড গার্মেন্টের হারুন অর রশীদ, তুসুকা ফ্যাশন্সের আরশাদ জামাল দিপু, উর্মি গার্মেন্টের আসিফ আশরাফ, ভিনটেজ ডেনিমের সাজ্জাদুর রহমান মৃধা শিপন ও ইয়াং ফরেভারের রাজীব চৌধুরী।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে এএসআর অ্যাপারেলের এ এম শফিউল করিম খোকন, অ্যামেকো ফেব্রিক্সের এম আহসানুল হক, ফোর এইচ অ্যাপারেলের মো. হাসান জেকি, এইচকেসি অ্যাপারেলের রকিবুল আলম চৌধুরী, লেগেসি ফ্যাশন্সের তানভীর হাবিব, এনএলজেড ফ্যাশনসের মোহাম্মদ মেরাজ-ই-মোস্তফা, আরএসবি ইন্ড্রাস্ট্রিয়ালের অঞ্জন শেখর দাশ, টপ স্টার ফ্যাশনসের আবসার হোসেন ও ওয়েল ডিজাইনার্সের সৈয়দ নজরুল ইসলাম এ প্যানেল থেকে প্রার্থী হয়েছেন।
ফোরাম
এই প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন হান্নান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম শামসুদ্দিন। ঢাকা অঞ্চলে এমজি শার্টেক্সের রুবানা হক, হান্নান ফ্যাশনসের এ বি এম শামসুদ্দিন, এজে ফ্যাশনসের আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, আমিতি ডিজাইনের শিহাবুদৌজা চৌধুরী, অনন্ত গার্মেন্টের এনামুল হক খান বাবু, দেশ গার্মেন্টের ভিদিয়া অমৃত খান, দিগন্ত সোয়েটারের কামাল উদ্দিন, ড্রেসম্যান গার্মেন্ট মাশিদ রুম্মান আবদুল্লাহ, দুলাল ব্রাদার্সের এম এ রহিম ফিরোজ, এভিটেক্স ড্রেস শার্ট শাহ রিয়াদ চৌধুরী, ফেব্রিকা নিট কমপোজিটের মিজানুর রহমান, ফ্যাশন ডটকমের খান মনিরুল আলম, ফ্যান্ডস স্ট্যাইলওয়্যারের এ এম মাহমুদুর রহমান, ইমপ্রেস নিউটেক্স কমপোজিট টেক্সটাইলের নাফিস উদ দৌলা, কেইলক নিউএজ বাংলাদেশের আসিফ ইব্রাহিম, ম্যাগপাই নিটওয়্যারের মজুমদার আরিফুর রহমান, মানামি ফ্যাশন্সের তাহসিন উদ্দিন খান, এমজি নিট ফ্লেয়ারের নাভিদুল হক, নেক্সাস সোয়েটারের রশীদ আহমেদ হোসাইনি, ওডিশা ফ্যাশন্সের ইকবাল হামিদ কোরাইশী আদনান, রাইজিট অ্যাপারেলসের মাহমুদ হাসান খান বাবু, সফটটেক্স সোয়েটারের রেজওয়ান সেলিম, সুরমা গার্মেন্টের ফয়সাল সামাদ, ট্রাউজার লাইনের রানা লায়লা হাফিজ, ওয়েগা ফ্যাশন সুয়েটারের মেজবাহ উদ্দিন আলী ও জিসাস ফ্যাশন্সের নজরুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে অ্যারিয়ন ড্রেসের মোহাম্মদ আতিক, চিটগং এশিয়ান অ্যাপারেলসের মোহাম্মদ আবদুস সালাম, ক্লিপটন অ্যাপারেলসের এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, ম্যাগি অ্যান্ড লিজ অ্যাপারেলসের এনামুল আজিজ চৌধুরী, মেলো ফ্যাশনসের শরীফ উল্লাহ, রিজি অ্যাপারেলসের মির্জা আকবর আলী চৌধুরী, রেন্সকো সোয়েটারের মোহাম্মদ দিদারুল আলম, নিড অ্যাপারেলসের রিয়াজ ওয়েজ ও উল ওয়ার্ল্ডের খন্দকার বেলায়েত হোসেন ফোরাম থেকে নির্বাচন করছেন।
৩৫ সদস্যের বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদে একজন সভাপতি, একজন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এবং ছয় জন সহসভাপতি নির্বাচিত হয়ে থাকে।
রবিবার সরাসরি ভোটে ৩৫ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন। এই ৩৫ জনকে নিয়েই গঠিত পরিচালনা পর্ষদ। পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভায় সভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচন করা হয়। সাধারণত যে প্যানেল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, সেই প্যানেলের দলনেতাই সভাপতি নির্বাচিত হয়ে থাকেন।