বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দিন দিন কঠিন হচ্ছে - ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৮ এএম, ১৩ মার্চ,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৪৩ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
গুরুতর অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশে দিনে দিনে কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে আশঙ্কা করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শুক্রবার জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের জাতীয় সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা তুলে ধরতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। টানা ২২ বছর পর কৃষক দলের এই জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ১৯৯৮ সালের ১৬ মে। সকাল ১০টায় মহানগর নাট্যমঞ্চ প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা ও দলীয় উত্তোলন, রঙিন বেলুন ও সাদা কবুতর উন্মুক্ত করে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু। এই সময় জাতীয় সঙ্গীত এবং পরে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। বিকাল ৩টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে হয় সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্ব কাউন্সিল অধিবেশন।
এই সম্মেলনে সারাদেশে থেকে আসা সংগঠনটির ৫৪৮ জন কাউন্সিলর অর্থাৎ ৭৯টি সাংগঠনিক জেলার ৩৯৫ জন এবং কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির ১৫৩ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যের সমাপ্তিতে সংগঠনের বিধান অনুযায়ী নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের পূর্বাহ্নে কৃষক দলের ১৫৩ সদস্যের আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব। বিকালে কাউন্সিল অধিবেশনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন হবে। গত বছরের ২৭ ফেব্রæয়ারি শামসুজ্জামান দুদুর নেতৃত্বে ১৫৩ সদস্যের আহŸায়ক কমিটি গঠন করে বিএনপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা একটা কঠিন সময় পার হচ্ছি, একটা সংকট মুহূর্ত পার হচ্ছি। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজকে অন্যায় মামলায় সাজা দিয়ে তাঁকে আটক করে রাখা হয়েছে। তিনি অসুস্থ। এই দুই-তিন দিন আগে তাঁকে আরো ৬ মাস তার সাজা স্থগিত করছে বলছে। কোথায় সাজা স্থগিত করছে? আপনারা তাঁকে (খালেদা জিয়া) গৃহবন্দি করে রেখেছেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে চেয়েছেন সেটাও আপনারা দেন নাই। আপনারা তাঁকে বাংলাদেশে রেখেই চিকিৎসা করতে বলছেন। যেখানে তার চিকিৎসা অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে দিনে দিনে।
তিনি বলেন, আমরা অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। আমরা এর নিচে কিছু চাই না। মুক্তি দিতে হবে, নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিতে হবে। আমরা আমাদের যেসব নেতাকর্মী বন্দি আছেন তাদের মুক্তি দিতে হবে। আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৩৫ লাখ মামলা আছে তা প্রত্যাহার করতে হবে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।
কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে ও সদস্য এস কে সাদীর পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষক দলের সৈয়দ মেহেদি আহমেদ রুমি, একেএম মোয়াজ্জেম হোসেন, নাজিমউদ্দিন, আফতাব উদ্দিন আহমেদ মন্ডল, জামালউদ্দিন মিলন, এমএ হালিম, নাসির হায়দার, জিয়াউল হায়দার পলাশ, লুৎফুর রহমান, মাহমুদুল হক সানু, শরীফুল ইসলাম মোল্লা, মহসিন আহমেদ তুষার, আনোয়ারুল হক, এনায়েতুল্লাহ খোকন, রবিউল হাসান পলাশ, সালাহউদ্দিন খান মিলকী, নাসিরউদ্দিন আহমেদ বাচ্চু, রফিকুল আলম রফিক, মাহবুবুর রহমান আউয়াল, আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা বক্তব্য রাখেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করেন কৃষক দলের সদস্যসচিব হাসান জাফির তুহিন এবং শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন তকদির হোসেন জসিম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহিদুল ইসলাম বাবুল, অনিন্দ্র্য ইসলাম অমিত, আবদুল খালেক, আমিরুজ্জামান শিমুল, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, ছাত্রদলের ইকবাল হোসেন শ্যামল, কৃষক দলের নেতা মেহেদি হাসান পলাশ, নাছির উদ্দিন হাজারী, মাঈনুল ইসলাম, ভিপি ইব্রাহিমসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।