ইউল্যাব শিক্ষার্থী ধর্ষণ-মৃত্যু : নেহার জামিন নামঞ্জুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩৪ এএম, ৮ মার্চ,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৫৬ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
রাজধানীর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) এক শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে করা মামলায় নিহত শিক্ষার্থীর বান্ধবী নেহার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন আসামি নেহার পক্ষে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখার পুলিশের এএসআই ফারুক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত সিকদার নেহার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে ৪ ফেব্রæয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আজিমপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নেহা ওই তরুণীর ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে মামলার এজহারভুক্ত আসামি।
জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি বিকালে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ইউল্যাবের ওই নারী শিক্ষার্থী তার বয়ফ্রেন্ড মর্তুজা রায়হান চৌধুরীসহ পাঁচজন উত্তরার ‘ব্যাম্বু সুট’ রেস্টুরেন্টে যায় এবং মদপান করে। এ সময় তাদের এক বান্ধবী মদপানে অসুস্থ হয়ে পড়লে সে (নেহা) ও তার বন্ধুকে উবারে তুলে দেয়া হয়। রেস্টুরেন্টে অবস্থানের সময় ইউল্যাবের ওই নারী শিক্ষার্থীও অসুস্থতা বোধ করে। পরে তাকে নিয়ে আসা হয় তাফসির নামে মোহাম্মদপুর এলাকায় তাদের এক বন্ধুর বাসায়। যেটি ছিল মোহাম্মদীয়া হোমস লিমিটেডের তিনতলার একটি ফ্ল্যাট। পরের দিন (২৯ জানুয়ারি) ওই বন্ধুর বাসায় থাকাকালে ইউল্যাব শিক্ষার্থীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে তার বয়ফ্রেন্ড মর্তুজা রায়হান। এতে সে আরও অসুস্থতা বোধ করলে গভীর রাতে তাকে প্রথমে নেয়া হয় কল্যাণপুরের ইবনে সিনা হাসপাতালে। সেখানে লাইফ সার্পোটের ব্যবস্থা না থাকায় নেয়া হয় ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ইউল্যাবের ওই নারী শিক্ষার্থীর। এদিকে ৩০ জানুয়ারি ওই নারী শিক্ষার্থীর অসুস্থতার কথা পরিবারকে জানায় তার বয়ফ্রেন্ড রায়হান।
এ সময় তার বাবা (ইউল্যাব শিক্ষার্থীর) চট্টগ্রাম থেকে আসেন এবং মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। সে সময় ওই নারী শিক্ষার্থী আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এদিকে মামলার এজাহারে থাকা তিন নম্বর আসামি আরাফাত মামলার আগের দিন (৩০ ডিসেম্বর) মোহাম্মদপুর সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এবং অনেক গোপনীয়তার সঙ্গে হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়, যা পুলিশ রবিবার বিকালে জানতে পারে। নারী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠলেও সোহরাওয়ার্দীর ফরেনসিক বিভাগ ময়নাতদন্তের পর প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক যৌনসঙ্গমের আলামত পাওয়া যায়নি। তবে ফরেনসিক রিপোর্ট পেতে এক মাস লাগতে পারে। এরপরই বোঝা যাবে বিষাক্ত মদ পানে নাকি অতিরিক্ত মদপানে তার মৃত্যু হয়েছে।