জামুকা কেনো, সরকারেরও জিয়ার খেতাব কেড়ে নেয়ার অধিকার নেই - ড. মোশাররফ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪৯ এএম, ১ মার্চ,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৫০ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
সরকার কথা বলার স্বাধীনতাকে হরণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আজ রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এই অভিযোগ করেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের আকরাম খাঁ হলে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের অপচেষ্টার প্রতিবাদে এই আলোচনা সভা হয়।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান দেখেছি, বাংলাদেশে এরশাদকে দেখেছি- কিছুদিন পর্যন্ত স্বৈরাচার গায়ের জোরে পুলিশি অ্যাকশন করে টিকে থাকতে পারে, বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না। আমরা গতকাল খুলনাতে (বিএনপি দলীয় সাবেক মেয়রদের সমাবেশ) দেখলাম- আমাদের কথা বলার অধিকার, আমাদের সমাবেশ করার অধিকার দেয়া হয়নি। এভাবে আজকে সরকার গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরে থাকছে। আমরা বিশ্বাস করি, সকলে মিলে জনগণ ইস্পাত কঠিন গণঐক্য গড়ে তুলে রুখে দাঁড়াবে। ইনশাল্লাহ এই ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করবে, জনগণের মালিকানা দেশের জনগণকে ফিরিয়ে দেবে- এই প্রত্যাশা আমরা করি।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে জিয়াউর রহমানের বীরোত্তম খেতাব কেড়ে নেয়ার অপচেষ্টা করছে। এ খেতাব কারো দয়ায় জিয়াউর রহমানসহ মুক্তিযোদ্ধারা পান নাই। সম্মুখযুদ্ধে যুদ্ধ করে তারা এই খেতার অর্জন করেছিলেন এবং এদেশের মানুষ তাদেরকে এই খেতাব দিয়েছে। এই খেতাব কেড়ে নেয়ার অধিকার কারো নেই। জামুকা কেনো, বর্তমান সরকারও যদি চায় এই খেতাব কেড়ে নেয়ার কারো কোনো অধিকার নেই।
তিনি বলেন, শাহবাগে আপনারা দেখেছেন কিভাবে সাধারণ ছাত্রদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। আজকে তার প্রতিবাদে প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ রাষ্ট্রের প্রশাসনের নির্দেশে অন্যায়ভাবে মারপিট করবে। এর প্রতিবাদ করা যাবে না এটা যদি হয় তাহলে তারা কেনো বলে এদেশ গণতান্ত্রিক দেশ? সাংবাদিকরা দেখেছেন, কিভাবে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিপেটা করেছে এবং রাবার বুলেট ছুড়েছে। আমরা এখনো জানি না, বহু আহত হয়েছে। আমরা এই সভা থেকে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি, নিন্দা জানাচ্ছি। এইভাবে ফ্যাসিবাদী সরকার প্রতিবাদকে দাবিয়ে দিতে চাচ্ছেন, এতে কখনোই তারা সফল হতে পারবেন না। সাময়িকভাবে দাবিয়ে রাখা যায় কিন্তু জনগণের প্রতিবাদকে, জনগণের ক্রোধকে সারাজীবন দাবিয়ে রাখা যাবে না।
জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুস কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জিয়া পরিষদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক লুতফর রহমান, মহাসচিব অধ্যাপক এমতাজ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহিল মাসুম প্রমুখ।