বনানীতে বিএনপির মশাল মিছিলে পুলিশের হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩২ এএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:২৮ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
রাজধানীর বনানীতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মশাল মিছিল বের করলে মিছিলের পেছন দিক দিয়ে পুলিশ অতর্কিতে ধাওয়া দিয়ে তা ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এ সময় পুলিশ বিএনপি নেতা আব্দুল হকসহ কয়েকজনকে আটক করে বলে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে সাংবাদিক মুশতাক আহমেদের কারাবন্দি অবস্থায় মৃত্যু, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে পরোয়ানা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজা দেয়ার প্রতিবাদে এই মিছিল হয়।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্যোগে আয়োজিত মশাল মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম তেনজিং, বিএনপি নেতা এ এফ এম খালেদ, ফজলুর রহমান মন্টু, শিমুল হোসেন ফারুক, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সুমন হোসেন, জিল্লুর রহমান রূপকসহ বহু নেতাকর্মী মিছিলে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী জানান, সন্ধ্যায় বনানী বাজারের সামনে থেকে একটি মশাল মিছিল বের করেন তারা।
মিছিলটি কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ প্রধান সড়কে উঠে কাকলীর দিকে এগোতে থাকলে মিছিলের পেছনে পুলিশ ধাওয়া দেয়।
এরপর লাঠিপেটা করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে সেখান থেকে বিএনপি নেতা আব্দুল হকসহ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে মিছিলে অতর্কিতে পুলিশি হামলা ও নেতাকর্মীদের আটকের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ অতর্কিতে হামলা চালিয়ে অনেককে আহত ও আটক করেছে। তিনি অবিলম্বে আটক নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
হামলা : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় আটক থাকা অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিচার চেয়ে বের হওয়া মশাল মিছিলে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে প্রগতিশাীল ছাত্র সংগঠনগুলো এ মশাল মিছিল বের করে।
মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ থানার সামনে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে জানান সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন প্রিন্স।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ওপর পুলিশ হামলা করেছে, লাঠিপেঠা করেছে। টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। এতে আমাদের ৭-৮ জন আহত হয়েছেন। পরে আমরা ক্যাম্পাসের দিকে চলে আসি।’
মশাল মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মার্কসবাদী) সভাপতি আল কাদেরী জয়, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ইকবাল কবীরসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী।